নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩০ পিএম, ২৯ নভেম্বর, ২০১৮
নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন ড. কামাল হোসেন। আর তাঁর এই নির্বাচনে না যাওয়া নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে বিএনপির বাইরে ঐক্যফ্রন্টের দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ এই ড. কামালের কারণেই তারা বিএনপির সঙ্গে বিভিন্ন দরকষাকষি করতে পারছিল। আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত হওয়ার পূর্বে ড. কামাল হোসেনের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
ড. কামাল নিজে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ফলে গণফোরাম, জাসদ, জেএসডি রব বিএনপির কাছে গুরুত্ব হারাল। অন্যদিকে, মাহমুদুর রহমান মান্না ঐক্যফ্রন্টের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজেই বিএনপির পকেটে ঢুকে পড়েছেন। তিনি ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নিজে ৯টি আসন নিয়ে বিএনপির মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছেন। যার ফলে এখন ঐক্যফ্রন্টের অন্য দুটি দলের অবস্থা সংকটাপন্ন। ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে যে প্রয়োজনে বিএনপি ঐক্য করেছিল, সে প্রয়োজনও আপাতদৃষ্টিতে এখন ফুরিয়ে গেছে।
বিএনপি কেন ড. কামাল হোসেনকে সঙ্গে নিয়েছিল, তার অনুসন্ধানে তিনটি কারণ বেরিয়ে এসেছে। কারণগুলো হলো-
১. সরকারের সঙ্গে একটি সংলাপ করা।
২. যে গ্রেপ্তার, হয়রানি সরকার চালাচ্ছে সেখানে ড. কামালকে একটি ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা।
৩. সর্বশেষ কারণ হলো, আন্তর্জাতিক মহলে একটি গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করা।
এখন বিএনপি জামাতসহ অন্যান্য শরিক দলগুলো নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমে গেছে। এখন স্বাভাবিকভাবেই ড. কামাল হোসেনের তেমন কোনো গুরুত্ব নেই। এই অবস্থায় ড. কামাল কি করবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি জনপ্রিয় নেতা কর্নেল অলি আহমদ মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।