নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৭ পিএম, ২৯ নভেম্বর, ২০১৮
বিশ্বে কালোবাজারে অস্ত্র বিক্রেতাদের নামের তালিকায় তারেক জিয়ার নাম পাওয়া গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট’ এর প্রতিবেদনে ‘অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের তালিকায় তাঁর নাম আছে ১৭ নম্বরে। ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে ‘আর্মস ডিলারস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনে তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে মোস্ট ওয়ান্টেড হিসেবে চিহ্নিত বলে জানানো হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারেক জিয়া ২০০১ সাল থেকে অবৈধ অস্ত্রের কালো বাজারে যুক্ত হন। ভারতে অন্তত তিনটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠনকে তিনি নিয়মিত অস্ত্র সরবরাহ করতেন। তাঁর একটি অস্ত্রের চালান ‘ভুল বোঝাবুঝি’র কারণে বাংলাদেশে আটকে যায়। তাঁর অস্ত্র ব্যবসার বিশ্ব নেটওয়ার্কে আছেন লিবিয়ায় বসবাসরত (বর্তমানে পাকিস্থানে) বাংলাদেশি, খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খন্দকার আবদুর রশীদ, ভারতের অস্ত্র ডিলার ছোটা শাকিল এবং উলফার অস্ত্রদাতা চীনের ঝি আউ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ত্র ব্যবসা করে তারেক জিয়া অন্তত এক বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় আট হাজার ১৩০ কোটি) আয় করেছেন। তারেক জিয়া মূলত চীন, লিবিয়া এবং রাশিয়া থেকে অস্ত্র কিনতেন এবং বিক্রি করতেন ভারত ও আফগানিস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ‘উগ্র ইসলামপন্থী কিছু জঙ্গি সংগঠনকেও তারেক জিয়া অস্ত্র সরবরাহ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট এর গবেষণায় এই অভিযোগগুলোর ব্যাপারে কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিপুল পরিমাণ এই অস্ত্রের কালো টাকা তারেক জিয়া বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বেনামে বিনিয়োগ করেছেন। অন্তত ১০টি দেশে তারেক জিয়ার বিনিয়োগের নিশ্চিত খবর পাওয়া গেছে। দেশগুলো হলো: সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ব্রুনাই, মরিশাস, মালয়েশিয়া, ফ্রান্স, ইতালি, মেক্সিকো, সুইজারল্যান্ড এবং থাইল্যান্ড। তবে কোনো বিনিয়োগই তাঁর নিজের নামে নেই।
২০০৪ সালে পাকিস্থানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর গোপন বার্তায় প্রথম তারেক জিয়ার নাম পাওয়া যায়। ওই গোপন বার্তায় উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে অস্ত্রের জন্য তারেক জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ওই গোপন বার্তাটি উদ্ধার করে। ২০০৫ সালে মার্কিন দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা এই চিঠির সূত্র ধরে তারেক জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু তারেক জিয়া ওই কর্মকর্তার কাছে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। ২০০৬ সালে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ তাদের প্রতিবেদনে অভিযোগ করে, ‘ তারেক ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অস্ত্র সরবরাহ করছেন।’ অস্ত্র ব্যবসায়ী ছোটা শাকিলের এক অনুচর ভারতের মুম্বাইয়ে ধরা পড়ার পর তাঁকে জিঙ্গাসাবাদের সূত্র ধরে তারেক জিয়ার নাম উঠে আসে।
এখনো অস্ত্র আমদানি রপ্তানিতে তারেক জিয়ার নেটওয়ার্ক কার্যকর আছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি কিংস পার্টি মেজর হাফিজ সাকিব আল হাসান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
সংযমের এই রমজান মাসে ইফতার পার্টির নামে বিএনপি গিবত পার্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শ্রমিক লীগ এবং কৃষক লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমানে বিএনপির নেতারা ক্লান্ত, কর্মীরা হতাশ। এ অবস্থায় গালিগালাজ করা ছাড়া তাদের করার কিছু নেই। দলটি এখন ইফতার পার্টির নামে সরকারের অন্ধ সমালোচনা করছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ইফতার পার্টি করে, এটাকে ইফতার পার্টি বলবো নাকি গিবত পার্টি বলবো। আওয়ামী লীগের গিবত করার জন্যই ইফতার পার্টি। স্রষ্টার প্রশংসার জন্য নয়, ইফতার পার্টির নামে ঢালাওভাবে সরকারের সমালোচনা করে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
বিএনএম সাকিব আল হাসান মেজর হাফিজ
মন্তব্য করুন
সদ্যই রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন দেশসেরা অলরাউন্ডার, বাংলাদেশ ক্রিকেটের রত্ন সাকিব আল হাসান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নমিনেশন নিয়ে হয়েছেন মাগুরা-১ আসনের এমপি। তবে এরই মাঝে ভিন্ন এক সমালোচনার জন্ম নিয়েছে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে।
গুঞ্জন উঠেছে, দ্বাদশ নির্বাচনের পূর্বে ‘কিংস পার্টি’ খ্যাত বিএনএমে যোগ দিয়েছিলেন। সম্প্রতি গণমাধ্যমে এমন একটি ছবিও প্রকাশিত হয়েছে। সাবিকের এমন কাণ্ডে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাকিব আওয়ামী লীগের টিকিটে মাগুরা থেকে নির্বাচন করে জয় লাভ করেছে। এর আগে সে কোনো দল করেছে কি না সেটা আওয়ামী লীগের কাছে বিবেচ্য নয়।
কাদের আরও বলেন, নমিনেশন চাওয়ার আগে সাকিব আমাদের পার্টির কেউ ছিল না। নমিনেশন যখন নেয় তাকে প্রাইমারি সদস্য পদ নিতে হয়। সে শর্ত পূরণ করা দরকার সেটা সে করেছে।
তিনি বলেন, সরকারি দল কিংস পার্টি করতে যাবে কেন? নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিতে অনেক ফুল ফোটে। কোনটা কিংস পার্টি, কোনটা প্রজা পার্টি এটা সম্পর্কে আমার জানা নেই।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমাদের গণতন্ত্র ঠিক আছে। আমাদের নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন ছাড়া সরকারে কেউ ক্ষমতা বসাতে পারবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুল ইসলামসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা এবং দণ্ড স্থগিতের বিষয়ে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। সোমবার (১৮ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
চলতি বছরের ৬ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে ও তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। পরে সেই আবেদনের বিষয়ে মতামত নিতে সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
জানা যাই, ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না- এ দুই শর্তে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ ইতোপূর্বে আটবার বাড়ানো হয়েছে। এবার বাড়ানো হলে নয়বারের মত খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়বে।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার দণ্ড ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়। যার মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে।
গত বুধবার (১৩ মার্চ) রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় বেগম খালেদা জিয়াকে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাকে বাসায় নেওয়া হয়।
বিএনপি খালেদা জিয়া মুক্তিবিষয়ে সিদ্ধান্ত
মন্তব্য করুন
মেজর হাফিজ এবং সাকিব আল হাসানের ভাইরাল ছবির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে নির্বাচনের আগে বিএনপির অনেকেই নির্বাচনে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিল। তারা বিএনএম বা কিংস পার্টি গঠনেও তৎপর ছিলেন। মেজর হাফিজ সুবিধা করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত বিএনএমে যোগ দেননি। এখন তিনি আবার সাচ্চা বিএনপির সাজার একটি নাটক করছেন। তবে সুযোগ সুবিধা পেলে কে কি করতে পারে তার একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রকাশিত হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিনের ছবিতে।