নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ৩০ নভেম্বর, ২০১৮
২৭ নভেম্বর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ঐ বৈঠকে আসন ভাগাভাগি নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়নি। গতকাল ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল তাতে শুধুমাত্র বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিল। ঐক্যফ্রন্টের অন্য কোনো শরীক নেতা এতে অংশগ্রহণ করেনি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দলগুলোর মধ্যে একমাত্র মাহামুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ৯টি আসনে সন্তুষ্ট হয়ে নির্বাচনের মাঠে চলে গেছে। এবং বিএনপির সঙ্গেই নাগরিক ঐক্য কাজ করে যাবে বলে মান্না জানিয়ে দিয়েছেন।
ঐক্যফ্রন্টের আরেকজন নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। তিনি কোনো দলের মধ্যে না থাকলেও এবার ধানের শীষ প্রতীক পেয়ে নির্বাচন করছেন। এদিকে ঐক্যফ্রন্টের জেএসডি এবং গণফোরামের সঙ্গে বিএনপির কোনো সমঝোতা হয়নি। এই দুটি দলই বিএনপির প্রতি অত্যন্ত অসন্তুষ্ট এবং ক্ষুব্ধ বলে ঐ দলদুটির নেতাদের সূত্রেই জানা গেছে। মাহামুদুর রহমান মান্না ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিএনপির সঙ্গে গাটছড়া বাধায় তারা ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। এই অবস্থায় এখন আপাতত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনো কর্মসূচি বা বৈঠক নেই। এমনকি একসঙ্গে যে নির্বাচনী ইশতেহার করার কথা ছিল, সে কাজও থমকে গেছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গণফোরাম এবং জেএসডি অভিযোগ করছে যে ঐক্যফ্রন্ট করে শুধু বিএনপিই লাভবান হয়েছে। তাই এই দুটি দল এখন বিএনপিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আর আগ্রহী নয়। জেএসডির একজন নেতা বলেছেন, তারা আশা করেছিলেন যে ঐক্যফ্রন্টের শরীকদের বিএনপি সম্মানজনক আসন দেবে এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করবে। কিন্তু বিএনপি যে নূন্যতম আসন দিয়েছে তা সম্মানজনক নয়, বরং অপমানজনক। গণফোরামও একই রকম মন্তব্য করেছে। ফলে যেসব নেতা ধানের শীষ প্রতীকের আশায় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছিল, তারা এখন হতাশায় ভুগছে। শেষ পর্যন্ত এই হতাশা থেকে এবং আসন ভাগাভাগি নিয়ে যদি সমঝোতা না হয় তবে জাতীয় ঐক্যফন্ট হয়তো ভাঙনের মুখেই পড়বে। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে গঠিত হয়ে একটি চমক সৃষ্টি করে আবার স্বল্পতম সময়েই দলটি ভেঙে গেলে রাজনীতিতে এটি হবে একটি বড় প্রহসন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।