নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫১ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০১৮
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক গণফোরামকে ৬ টি আসন দেওয়ার প্রস্তাব করেছে জোটের বৃহত্তম দল বিএনপি। আসনের জন্য সর্বশেষ এক বৈঠকে গণফোরামকে বিএনপির পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। অবশ্য ওই বৈঠকে অংশ নেননি গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এককালের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। গণফোরামের পক্ষ থেকে বৈঠকে ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু।
বিএনপির সঙ্গে আসন নিয়ে বৈঠকে মোস্তফা মহসিন মন্টু দলটির নেতাদের বলেন, একদিকে আপনারা জামাতকে ২৫ টি আসন দিয়ে আমাদের মুখে চুলকানি মেখেছেন। আরেকদিকে আমাদের ভিক্ষা দিচ্ছেন ছয়টা সিট। আমাদের ভিক্ষা দরকার নেই, কুত্তা সামলান।
কুকুর বলতে জামাতকে বুঝিয়েছেন কিনা? বিষয়টি জানাতে চেয়ে মোস্তফা মহসিন মন্টুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, আমি কী বলেছি সেটার ব্যাখ্যা আপনারা দিন।
জানা গেছে, বিএনপির পক্ষ থেকে মোস্তফা মহসিন মন্টু, রেজা কিবরিয়া, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ সহ আরও তিনজনকে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়ার জন্য বিএনপি থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। গণফোরাম ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
উল্লেখ্য, জামাতের অন্তত ২৫ জনকে ধানের শীষ মার্কায় মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। এদের মধ্যে যুদ্ধাপরাধের মামলায় অভিযুক্ত যেমন আছে, তেমনি আছে যুদ্ধাপরাধীদের স্ত্রী, সন্তানরাও।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।