নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৩ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০১৮
নির্বাচনের নেপথ্যেই থাকেন বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল আউয়াল মিন্টু। কিন্তু নেপথ্যে থেকে নির্বাচনের কলকাঠি নাড়েন তিনিই। আর, এ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে মিন্টু যুক্ত ছিলেন কোনোটিতেই তিনি যে পক্ষে ছিলেন তারা হারেনি।
১৯৯৬ সালে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান শাহ এ এম এস কিবরিয়া হলেও, নির্বাচন পরিচালনার মুখ্য দায়িত্বে পালন করেন আবদুল আউয়াল মিন্টু। সেই নির্বাচনে জয় হয় আওয়ামী লীগেরই। কিন্তু, ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচন পরিচালনার মূল দায়িত্বে ছিলেন মিন্টু। সেবার হাওয়া ভবনের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব সফল ভাবেই পালন করেন তিনি।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আবদুল আউয়াল মিন্টুর কোনো ভূমিকা ছিল না। মামলা, জেল-জরিমানা, দেশত্যাগ ইত্যাদি কারণে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বেই ছিলেন না তিনি।
এবারের নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তবে মূল দায়িত্ব আবদুল আউয়াল মিন্টুর কাঁধেই। জানা গেছে, লন্ডন থেকে যে বার্তা আসছে এবং স্থানীয় ভাবে নির্বাচন পরিচালনায় যে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, তার সবই হচ্ছে আবদুল আউয়াল মিন্টুর মাধ্যমেই। এবার নির্বাচনে মিন্টু কী করেন সেটাই এখন দেখার বিষয় বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।