নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০১৮
বিএনপির প্রার্থী তালিকায় ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির মামলার আসামি আছেন। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রার্থী আছে একজন। জঙ্গি সম্পৃক্ততার মামলার আসামি আছেন ৯ জন। পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিএনপি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রাথমিক ভাবে ৬৯৬ জনকে মনোনয়ন দিয়েছে। এই তালিকায় মাত্র ৭৮ জনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। বাকি ৬১৮ জনের বিরুদ্ধে কোনো না কোনো মামলা আছে।
বিএনপির প্রার্থী তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ১৯ টি আসনে প্রার্থী হয়েছেন জেলে থেকে। এদের মধ্যে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াই প্রার্থী হয়েছেন তিনটি আসন থেকে। এছাড়াও শিমুল বিশ্বাস- পাবনা ৫ আসনে, খায়রুল কবির খোকন নরসিংদী-১ আসনে, এহসানুল হক মিলন চাঁদপুর-১ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত রয়েছেন অন্তত একজন প্রার্থী। কিশোরগঞ্জ-৩ আসন থেকে প্রার্থী করা হয়েছে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ড. ওসমান ফারুককে। তিনি সাবেক শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তদন্ত হলে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান।
বিএনপির প্রার্থী তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, দিনাজপুর-৬ আসনের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনের মামলা রয়েছে। একই অভিযোগে মামলা রয়েছে কুড়িগ্রাম-১ আসনের প্রার্থীর বিরুদ্ধেও। নওগাঁ-১, রাজশাহী-৫, ঝিনাইদহ-১ আসনের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা বিচারাধীন রয়েছে। অন্যান্য প্রার্থীদের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলার অভিযোগ হলো সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, অগ্নিসংযোগ, সরকারি কাজে বাধা প্রদান ইত্যাদি। সবচেয়ে বেশি মামলা রয়েছে ঢাকা-১৮ আসনের প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে, ১০৮ টি। ঢাকা-৫ আসনের প্রার্থী নবী উল্লার বিরুদ্ধে রয়েছে ৯১ টি মামলা। ঢাকা-৪ আসনের প্রার্থী সালাউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে রয়েছে ৮০ টি মামলা। তার ছেলে তানভীর আহমেদের বিরুদ্ধেও মামলা সংখ্যা ৭৫ টি। দলের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধেও রয়েছে অনেক মামলা। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে রয়েছে ২৭টি মামলা। স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা সংখ্যা ১৯টি, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা রয়েছে।
বিএনপির মনোনয়ন প্রাপ্তদের মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, সিলেট-১ আসনের ইনাম আহমেদ চৌধুরী, সিলেটের আরেক আসনে প্রয়াত ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহমিনা রুশদী লুনা, রাজশাহীর আবু হেনা, সিরাজগঞ্জ থেকে কনক চাপা, নীলফামারী থেকে বেবী নাজনীন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।