নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১১ পিএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০১৮
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ঢাকা -১ আসনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের বিএনপিতে যোগদান নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে। বিএনপিতে যোগদান করে ঐ আসনে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি তাই হয় তাহলে ঢাকা-১ আসনে বাঘ-সিংহে লড়াই হবে। একদিকে ধানের শীষের প্রার্থী থাকবেন অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম আর অপরদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী থাকবেন শিল্পপতি সালমান এফ রহমান।
ঢাকা-১ আসনে বিএনপির দুই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হবার পর এ গুঞ্জন সত্য বলেই মেনে নিচ্ছেন ঢাকা-১ এর এলাকাবাসী। জানা গেছে, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু আশফাক ও নবাবগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান ফাহিমা হোসাইন জুবলীর মনোনয়ন বাতিল হলে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের পক্ষে যোগাযোগ করা হয় বিএনপি হাইকমান্ডের সাথে। সাথে সাথেই সবুজ সংকেত মিলেছে তাঁকে বিএনপির প্রার্থী করার বিষয়ে। যদি এমনটা হয় তাহলে আজ-কালের মধ্যেই জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করে ধানের শীর্ষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসন থেকে জাপার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। ঐ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য তিনি। মহাজোট থেকে এবারও তাঁকে মনোনয়ন দেয়া হবে এমনটাই আশা ছিল তার কিন্তু শেষ মুহূর্তে মহাজোট ঐ আসনে জাপা প্রার্থীকে না দিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে শিল্পপতি সালমান এফ রহমানকে মনোনয়ন দেয়। সালমান এফ রহমানকে মনোনয়ন দেওয়া নিয়ে জাপা প্রার্থী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম সরাসরি অভিযুক্ত করেন দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ এবং মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে। আর নিয়েই তাঁর সাথে টাগ অব ওয়ার শুরু হয় জাতীয় পার্টির।
বাংলা ইনসাইডার/ জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।