নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০১৮
কদিন আগেও বিএনপি মার্কিন দূতাবাসের কাছেই তাদের অভিযোগের কথা বলতো। বিএনপিকে নির্বাচনমুখী করতে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের ক্ষেত্রে মার্কিন দূতাবাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল বলেও কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়। এমনকি সদ্য বিদায় নেওয়া মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাটতো বিএনপির পক্ষেই কথা বলা শুরু করেছিলেন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ তীব্র প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছিল। শুধু ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসই নয়, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরও বিএনপিকে সভা-সমাবেশ করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। বিএনপির গণতান্ত্রিক অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে অনুরোধও জানিয়েছিল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। সেই মার্কিন প্রশাসনই এখন বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে উত্থাপিত এক বিলে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে জামাত এবং হেফাজতকে ঠেকানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। হঠাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রূপ বদলে বিএনপিও হতবাক। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কোনো রাখঢাক না রেখেই মার্কিন নীতির সমালোচনা করেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে নানা প্রশ্ন। কেন বিএনপি থেকে মুখ ফেরালো মার্কিনীরা? কেন মার্কিন প্রশাসন তার অবস্থান পরিবর্তন করল। কূটনৈতিক মহলে আলোচনা করে এর কয়েকটি কারণ জানা গেছে। এগুলো হলো:
১. বারবার মার্কিন অনুরোধ সত্ত্বেও বিএনপি জামাতকে ত্যাগ করেনি। এমনকি ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ার পরও বিএনপি শুধু জামাতের কারণেই ২০ দল বিলোপ করেনি বলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে। সর্বশেষ নির্বাচনী মনোনয়নে জামাতের ২০ জন প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার বিএনপির সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
২. যুদ্ধাপরাধীদের সন্তান এবং জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত বেশ কজনকে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মার্কিন প্রশাসন উদ্বিগ্ন বলেই জানা গেছে।
৩. মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই সম্প্রতি নাইকোর ঘুষ নিয়ে এক তদন্ত প্রতিবেদন বাংলাদেশ সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বেগম খালেদা জিয়ার ঘুষ গ্রহণের প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই। ওই তদন্ত রিপোর্ট মার্কিন প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিয়েছে বলে জানা গেছে। বিএনপির বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যে দুর্নীতির অভিযোগ আনে তা সব যে মিথ্যা নয়, এই উপলব্ধি হয়েছে মার্কিনীদের।
৪. ড. কামাল হোসেনকে যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান দেয়নি বিএনপি। বার্নিকাট দেশ থেকে বিদায়ের আগেও বিএনপি মহাসচিবকে অনুরোধ করেছিলেন, ড. কামালকে যেন নির্বাচনে আনা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ড. কামাল হোসেন নির্বাচনে না আসায় মার্কিন প্রশাসন বিএনপির প্রতি আস্থা সরিয়ে নিয়েছে বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।