নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৭ এএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
এখনো আশা ছাড়েননি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতৃত্ব থেকে মোটামুটি নির্বাসিত তিনি। দলের কর্তৃত্ব তাঁর হাতে আর নেই। চলে গেছে স্ত্রী রওশন এরশাদের কাছে। আওয়ামী লীগ ও সরকারের সঙ্গে থাকতে চায় রওশনসহ জাপার একটি বড় অংশ। আর জাপার এই সিংহভাগ নেতৃবৃন্দের চাওয়া হলো, নির্বাচনের আগে এই সময়ই এরশাদ বিদেশে চলে যাক।
জাপার একটি বড় অংশের মত হলো, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ যতই থাকবেন ততই জট পাকাবেন। আর এরশাদেরও গতকাল মঙ্গলবার বা আজ বুধবারের মধ্যে সিঙ্গাপুর চলে যাওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসেছেন তিনি।
জাপার নতুন মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা গতকাল এরশাদের সঙ্গে দেখা করেন। এরশাদকে তিনি বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার বাইরে চলে যাওয়া দরকার। কিন্তু এরশাদ কঠোর ভাবেই বলেছেন, তিনি এখন দেশের বাইরে যাবেন না।
এরশাদ ঘনিষ্ঠরা বলছেন, তিনি মনে করছেন খেলা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। এখনো অনেক কিছুই করার আছে এরশাদের। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময়ও এরশাদ নাটক করেছিলেন। এরশাদ শেষ পর্যন্ত নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও স্ত্রী রওশন এরশাদের একরোখা মনোভাবের কারণে জাপা নির্বাচনে যায় এবং সংসদের বিরোধী দল হয়।
জানা গেছে, এরশাদ ১০ ডিসেম্বরের আগে কোনো ভাবেই বিদেশে যেতে চান না। কারণ, আনুষ্ঠানিক ভাবে এরশাদ এখনো দলের চেয়ারম্যান। আর, ৯ তারিখ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন। এখন এরশাদ ওই সময়ের মধ্যে কোনো ভাবে চিঠি দিয়ে যদি বলেন, জাতীয় পার্টির কাউকেই লাঙ্গল প্রতীক দেওয়া হবে না অথবা জাতীয় পার্টি আলাদা নির্বাচন করবে তাহলেই সব হিসেবে নিকেশ বদলে যাবে। এই খেলাই যেন খেলতে চাইছেন এরশাদ। আর এজন্যই এরশাদ এখনো হাল ছাড়েননি এবং দলের কারও কথাও এখনো শুনছেন না।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।