নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১০ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
আপনি যখন বিদেশে যাবেন, তখন সঙ্গে কয়টা স্যুটকেস নিয়ে যাবেন? একটা, বড়জোর দুইটা। কিন্তু এমন কেউ কেউ আছেন যাঁরা ৫ টা থেকে ২০ টা পর্যন্ত স্যুটকেস নিয়ে বিদেশে ভ্রমণ করেন। সৌদি আমির, দুবাইয়ের শেখরা এই গোত্রের। বাংলাদেশেরও দু একজন আছেন যাঁরা ১৫/১৬টা লাগেজ নেন এক ভ্রমণে। এই তো ক’দিন আগের কথা। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে যাবেন। আগে থেকেই জানানো হলো, বেগম জিয়ার সঙ্গে ১২ টা স্যুটকেস যাবে। ট্রাভেল এজেন্ট এমিরেটসকে আগাম এক্সট্রা পেমেন্ট করে দেয়। হিথ্রোতে নামার পর ‘বর্ডার সিকিউটির’ নজরে আসে বিষয়টি। সবগুলো লাগেজ স্ক্যানিং হয় একঘণ্টা ধরে। তারপর লাগেজ গুলো ছাড়া হয়।
শুধু এবার লন্ডনে যাওয়া নয়, যতবারই বেগম জিয়া বিদেশে গেছেন নূন্যতম ১০ টি লাগেজ নিয়ে গেছেন। এতগুলো লাগেজ নেওয়ার কারণ কী? বেগম জিয়ার লাগেজের মধ্যে ৫ থেকে ৭ টা লাগেজে থাকে ব্র্যান্ডের শাড়ি। বেগম জিয়ার ব্র্যান্ডের শাড়ি ছাড়া পারেন না। তার শাড়ি আসে ইতালি, ফ্রান্স এবং ভারত থেকে। বেগম জিয়ার সবচেয়ে পছন্দ হলো ইতালিয়ান শিফন। ইতালিয়ান শিফনের নূন্যতম মূল্য ১৫ হাজার ইউরো। বাংলাদেশি টাকায় ১৩ লাখ। তবে বেগম জিয়া এরকম সাধারণ শিফন কমই পরেন। তিনি পরেন এক্সক্লুসিভ ডিজাইনের শাড়ি। মিলানো ডিজাইনের শাড়ির দাম ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ইউরো পর্যন্ত। বাংলাদেশি টাকায় ৪২ লাখ টাকা থেকে ৮৬ লাখ টাকা। এসব শাড়ি সাধারণ শাড়ির মতো ভাঁজ করে স্যুটকেসে রাখা যায় না। এসব শাড়ির জন্য আলাদা বিশেষায়িত প্যাকেট লাগে। একটা স্যুটকেসে এরকম মাত্র তিনটা শাড়ি রাখা যায়। ১০ টা ব্যাগে ৩০ টা শাড়ি হলো বেগম জিয়ার সফরের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পরিধেয়।
বেগম জিয়া জুতা বা স্যান্ডেলও পরেন ব্র্যান্ডের, এগুলো থাকে এক স্যুটকেসে। বেগম জিয়া বিভিন্ন প্রসাধন এবং পারফিউম পছন্দ করেন। একই পারফিউম তিনি দুবেলা ব্যবহার করতে পারেন না। নানান পারফিউম এবং টয়লেট্রিজ থাকে এক লাগেজে। এভাবেই অন্তত ১২ টা লাগেজ সব সময় বেগম জিয়ার সফরসঙ্গী হয়। ১২ থেকে ১৬ টা লাগেজ নিয়ে যান তিনি শুধু যাবার সময়। কিন্তু যখন ফেরেন, তখন কয়টা লাগেজ নিয়ে ফেরেন? খবর নিয়ে জানা যায়, ইদানিং এক থেকে দুটো স্যুটকেস বাড়ে তাঁর লাগেজ বহরে। কিন্তু আগে, এই সংখ্যা কোনো সময় ৩২ টিও ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
১৯৯৩ সালে বেগম জিয়া গিয়েছিলেন ইতালিতে বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে। ওই সময় বেগম জিয়া ফেরেন ৩২ টি লাগেজ নিয়ে। বিমানে ১০টা স্যুটকেস পাঠানো সম্ভব হয়েছিল। বাকি ২২টা লাগেজ আসে কার্গো প্লেনে। বেগম জিয়া যে কয়বার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গেছেন প্রতিবারই কার্গোতে তাঁর অন্তত ২০টা করে লাগেজ এসেছে। এসব লাগেজ অধিকাংশই ছিল দামি প্রসাধনী, মেকআপ সামগ্রী, জুতা এবং পরিধেয়।
এমিরেটসে যারা বেশি লাগেজ নিয়ে ভ্রমণ করেন তাঁদের একটি তালিকা তৈরি করেছে। এই তালিকায় প্রথম দিকে আছে বেগম জিয়ার নাম। ব্র্যান্ডের শাড়ি রাখার জন্য বেগম জিয়া যেসব স্যুটকেস ব্যবহার করেন, সেগুলোও সাধারণ স্যুটকেস নয়, সব ব্রান্ডের স্যুটকেস। আদালতের নির্দেশে যখন বেগম জিয়ার ক্যান্টনমেন্টের বাসা ছাড়তে হয় তখন তাঁর বাড়ি থেকে এক হাজার ২৭ টি স্যুটকেস সরানো হয়েছিল।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক
লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামীকাল আজ শুক্রবার।
১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল আজকের এদিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কৃষক লীগের ৫২ বছর পূর্তি
উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু কৃষক নেতা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতকে
কৃষক লীগের কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেন। বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনায় ব্যারিস্টার বাদল রশিদকে
সভাপতি ও আব্দুর রউফকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠিত হয়।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কৃষক
লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে কৃষিবিদ সমীর চন্দকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম
স্মৃতিকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ
সমীর চন্দ দলের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান।
এসময় তিনি বলেছেন, দেশের কৃষির উন্নয়ন এবং কৃষকের স্বার্থ রক্ষার
জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষক
লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে কৃষক লীগ কৃষকদের সংগঠিত করা, তাদের দাবি আদায়
এবং দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আসছে।
আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টায় সংগঠনটির ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
উপলক্ষে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা এবং দলীয়
পতাকা উত্তোলন। এছাড়াও সকাল ৭টায় মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে ধানমন্ডির ৩২ পর্যন্ত শোভাযাত্রা।
সকাল সাড়ে ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। এছাড়াও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ
হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর কর্মসূচি রয়েছে।
এদিন বিকাল ৩টায় কৃষি ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্রের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করবেন কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।
কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শামা ওবায়েদ সারাহ কুক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।