ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র যা চায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে নির্বাচনে ক্ষেত্রে মার্কিনীদের প্রভাবের কথা কারও অজানা নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই দেশগুলোর উপরেই আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে, যে দেশগুলো তুলনামূলক ভাবে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল এবং অর্থনৈতিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক নীতিতে প্রকাশ্যেই বলেছে, যে কমিউনিজম বা সমাজতন্ত্রের বিপক্ষে তাঁদের অবস্থান সুদৃঢ়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পুঁজিবাদী গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাই দেখতে চায় তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে। বিশ্বের যেসব দেশে সমাজতন্ত্র-সাম্যবাদের কথা বলা হয়েছে, সমাজতন্ত্র এবং সাম্যবাদের উত্থান ঘটেছে সেসব দেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত নগ্ন ভাবে হস্তক্ষেপ করেছে। চিলির আলেন্দের কথা আমরা জানি, যুগোস্লাভিয়ার মার্শাল টিটোর কথা আমরা জানি। এমনকি বিপ্লবী চে গুয়েভারার হত্যাকাণ্ডের মার্কিনীদের প্রকাশ্য ভূমিকা ছিল বলে সবরকমের তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদদ এবং প্রচ্ছন্ন সমর্থনের কথাও এখন বিভিন্ন দলিলপত্রে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা অতীতেও ছিল, এখনো আছে। তবে বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং উন্নয়নের মহাসড়কে উঠে আসার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা অনেক কমে এসেছে। যার ফলে বর্তমানে বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবের বলয়ও এখন অনেক কম। তারপরও ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে। কারণ এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি কর্তৃত্ব বজায় রাখতে চায়, তাহলে কৌশলগত কারণেই বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।  

অন্যান্য নির্বাচনের মতোই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনে সুস্পষ্ট কিছু বিষয়ের উল্লেখ করেছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার এসেই বলেছেন, বাংলাদেশে তাঁরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন তাঁরা দেখতে চায়। যে নির্বাচন একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। এই প্রকাশ্য কথার বাইরেও বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু নীতি এবং কৌশল আছে। তাঁরা বাংলাদেশে এমন একটা সরকার চায়, যে সরকার সুনির্দিষ্ট কিছু নীতি এবং কর্মপন্থা অনুসরণ করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে যে ধরনের সরকার চায় সেগুলোর মধ্যে অন্যতম বিষয় হচ্ছে:

১. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশে যেন ধর্মান্ধ মৌলবাদী গোষ্ঠীর উত্থান না ঘটে। তাঁরা আরও চায় বাংলাদেশে একটা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির চর্চা হোক। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে জামাত এবং হেফাজতসহ মৌলবাদী দলগুলোর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট একটি বিল উত্থাপিত হয়েছে এবং এই বিলের মাধ্যমে স্পষ্টতই মার্কিন আকাঙ্ক্ষা-অভিব্যক্তি প্রকাশ হয়েছে।

২.  কৌশলগত কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে এমন একটা সরকার চায় যারা চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সংকোচন নীতি গ্রহণ করবে। গত দুই দশক ধরে বাংলাদেশ দক্ষিণ দক্ষিণ অর্থনীতি গ্রহণ করেছে। এই সময়ে বাংলাদেশের সবগুলো সরকার ধারাবাহিকভাবেই চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ নীতি গ্রহণ করেছে। এর ফলে বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা বাণিজ্য অনেক হ্রাস পেয়েছে। এ বিষয়টি তাঁদের বর্তমানে অন্যতম একটি ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে যখন অর্থনৈতিকভাবে একটি স্বাবলম্বী দেশে পরিণত হচ্ছে, তখন বাংলাদেশে অনেক ব্যবসায়িক এবং বাণিজ্যিক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেই ব্যবসায়িক সুযোগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাজে লাগাতে পারছে না। সুতরাং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে এমন একটা সরকার চায়, যারা চীনের সঙ্গে বিভিন্ন বাণিজ্য সংকোচন নীতি গ্রহণ করবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেবে।   

৩. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া কোনো দেশ মার্কিন বিরোধী অবস্থান যেন না থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুস্পষ্ট নীতি হলো কোন রাষ্ট্র যেন সমাজতন্ত্র বা কমিউনিজমের প্রতিষ্ঠা না হয়। সে কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর নির্বাচনে এমন একটা আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে কোন ভাবেই বামপন্থার রাজনীতির উত্থান না হয়। হেনরি কিসিঞ্জারের যে মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি, সেখানে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুস্পষ্ট নীতিগত অবস্থান হলো, সমাজতন্ত্রের পক্ষের কোনো শক্তির যেন উত্থান না ঘটে। যেসব দেশে সমাজতন্ত্রের উত্থান ঘটেছে, সেসব দেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। বাংলাদেশের এবারের নির্বাচনেও তাঁরা চায়, বাংলাদেশে মার্কিন বিরোধী কোনো বামপন্থী দল ভালো অবস্থানে না থাকে।

৪. বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে বিনিয়োগ চলছে, সেইগুলোর ধারাবাহিকতায় আরও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ ঘটে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার আসবে তার কাছ থেকে প্রত্যাশা করে। 

৫. বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রপন্থী বেশ কিছু সুশীল প্রতিনিধি রয়েছে। যেমন ড. মুহম্মদ ইউনূসকে প্রকাশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে। তাঁকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো লুকোচুরি করে না। ড. মুহম্মদ ইউনূসকে যখন গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যেই তার প্রতিবাদ করেছিল। এছাড়াও মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানহানির মামলা করা হয়েছে, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাহফুজ আনামের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছিল। বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রপন্থী এবং মার্কিন স্বার্থ সংরক্ষক যে সুশীল রয়েছে তাঁদের স্বার্থ সুরক্ষা এবং পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়াও মার্কিনীদের একটা বড় এজেণ্ডা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় এমন একটা সরকার আসুক যারা এইসব মার্কিনপন্থী সুশীলদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে।

৬. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটা প্রকাশ্য নীতি আছে, যা তারা বাংলাদেশে কোনদিন বাস্তবায়ন করতে পারেনি। সেটা হচ্ছে তাঁরা চায় বাংলাদেশ ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করুক। লক্ষ্য করা যায় বিএনপির একজন নেতা আসলাম চৌধুরী ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে ভারতে একটা বৈঠক করেছিল। বাংলাদেশে যেন ইসরাইলের স্বার্থ সুরক্ষিত হয়, সেই বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বহুদিন থেকে কাজ করে করলেও এই বিষয়ে তেমন কোনো সফলতা তারা অর্জন করতে পারেনি।

এগুলোর পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষা যে, প্রথমত তারা এমন একটা সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়, বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে নীতি আছে, সেই নীতিকে যে সরকার সমর্থন করবে। দ্বিতীয়ত তাঁরা এমন একটা সরকার বাংলাদেশে দেখতে চায়, যে সরকার মার্কিন কূটনীতির প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করবে। তৃতীয়ত, বাংলাদেশে তারা এমন একটা সরকার চায়, যে সরকার বিশ্ব রাজনীতির মেরুকরণে রাশিয়া এবং চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক দূরত্ব বজায় রাখবে। যে রাজনৈতিক দল এই বিষয়গুলো অগ্রাধিকার দিবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন তাঁদের দিকেই থাকবে। যদিও বাংলাদেশের নির্বাচনকে প্রভাবিত করার কোনো ক্ষমতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন আর রাখে না।

বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ   



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যে কারণে খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন না এমভি আবদুল্লাহর নাবিকরা

প্রকাশ: ০৩:১৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকরা আপাতত খাবার নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা করছেন। তবে জাহাজে বিশুদ্ধ পানি কমে যাওয়া নিয়ে নাবিকেরা কিছুটা দুশ্চিন্তায় আছেন। 

জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের বরাতে জাহাজটির মালিকপক্ষ ও নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে।

জানা গেছে, খাবার নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা নেই। কারণ, জলদস্যুরা জাহাজে দুম্বা ও ছাগল আনছে। তবে বিশুদ্ধ পানি নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে। কারণ, জলদস্যুরা জাহাজে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে জাহাজে যা বিশুদ্ধ পানি আছে, তা রেশনিং করে চলতে হচ্ছে। সংকটের কারণে এখন সপ্তাহে দুই দিন এক ঘণ্টা করে জাহাজের বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করছেন নাবিকেরা। অর্থাৎ সপ্তাহে মাত্র দুই ঘণ্টা বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছেন তারা।

এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করার সময় জাহাজটিতে ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি ছিল। এই পানি দিয়ে এক মাস পর্যন্ত চালানো যাবে বলে তখন নাবিকেরা জানিয়েছিলেন। 

উল্লেখ্য, ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। পরে তারা জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে নিয়ে যায়। চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে আছে।

এর আগে প্রায় ১৩ বছর আগে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর এমভি জাহান মণি নামের একই গ্রুপের মালিকানাধীন একটি জাহাজ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটি ১০০ দিন পর সব নাবিকসহ উদ্ধার করা হয়েছিল। জিম্মি অবস্থায় জাহাজটির খাবার ফুরিয়ে গেলে জলদস্যুরা সপ্তাহে দুটি দুম্বা নিয়ে আসত।


এমভি আবদুল্লাহ   কবির গ্রুপ   সোমালিয়া উপকূল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এখনই ভারত বিরোধী কর্মসূচিতে যাবে না বিএনপি

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি ভারতীয় পণ্য বর্জন বা প্রকাশ্য ভারত বিরোধী কর্মসূচিতে এখনই যাবে না। দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে চূড়ান্তভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দলের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। গতকাল লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া স্থায়ী কমিটির সদস্যদের এই বার্তা দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, এখনই ভারত বিরোধী কর্মসূচি প্রয়োজন নেই। তবে বিভিন্ন স্থানে যারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভারতের বিরোধিতা করবে ভারতীয় পণ্য বর্জন করবে, তাদের ব্যাপারে বিএনপি নির্লিপ্ত থাকবে। এমনকি ভারতের যে সমস্ত আগ্রাসন বা পক্ষপাতমূলক আচরণ সে ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান সুস্পষ্ট থাকবে। বিএনপি বাংলাদেশের স্বার্থের জন্য যে কোন দেশের সমালোচনা করবে। তবে কোন দেশের পণ্য বর্জনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো কর্মসূচি নেবে না বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য যে, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকেই বিএনপির মধ্যে একধরনের ভারত বিরোধিতার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। বিএনপির অনেক নেতাই প্রকাশ্যে বলেন যে, আওয়ামী লীগকে ভারত ক্ষমতায় রেখেছে এবং ভারত একটি অগণতান্ত্রিক সরকারকে বাংলাদেশে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। এ নিয়ে বিএনপির বেশ কিছু নেতা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছিলেন। তবে গত ২০ মার্চ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রকাশ্যে ভারতীয় পণ্য পুড়িয়ে ফেলে আলোচনায় আসেন। 

এর আগে বিদেশে পলাতক সাইবার সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত পিনাকী ভট্টাচার্য তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে যাচ্ছিলেন। তার এই পণ্য বর্জনের ডাকে তেমন কোন সাড়া না পড়লেও পিনাকীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে এবং পিনাকীর নেতৃত্ব মেনে রুহুল কবির রিজভীর এই ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। বিএনপির মধ্যে এই নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

বিষয়টি নিয়ে বিএনপি নেতাদের অনেকেই বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন। যেদিন রিজভী ভারতীয় পণ্য পুড়ানোর নাটক করেন তার ঠিক চারদিন পর ২৪ মার্চ বিএনপি ওয়েস্টিন হোটেলে বিদেশি কূটনৈতিকদের সম্মানে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। সেই ইফতার অনুষ্ঠানে ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনারও উপস্থিত ছিলেন এবং এটি বিএনপির অনেক জন্য একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি বলেই উল্লেখ করা হয়।

বিষয়টি দলের স্থায়ী কমিটির সভা পর্যন্ত গড়ায় এবং এখানে অনেকেই এই সিদ্ধান্ত বিএনপি নিয়েছে কি না সেই প্রশ্ন উত্থাপন করেন। অবশ্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তখন রিজভীর পক্ষেই অবস্থান নেন। তিনি জানান, যে রিজভী যেটা করেছেন সেটি তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে এটি করেছে। এটি দলীয় অবস্থান নয়।

তবে এরপরে বিএনপির মধ্যে অনেক সিনিয়র নেতা প্রশ্ন করেন যে, একজন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তি দলীয় অবস্থানের বাইরে গিয়ে ব্যক্তিগত অবস্থান নিতে পারেন কি না? এই বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে ওই স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জানানো হয়েছিল। পরবর্তীতে গতকাল রাতে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানিয়ে দেন যে, তারা আপাতত কোন প্রকাশ্য কর্মসূচিতে যাবে না। তবে ব্যক্তিগতভাবে যদি কেউ ভারত বিরোধিতা করে বা ভারতের অবস্থানের সমালোচনা করে সেগুলো নিয়ে বিএনপি নীরব থাকবে। দলগতভাবে ভারতীয় পণ্য বর্জনের কোনো ডাক বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া হবে না বলেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে- সীমান্ত হত্যা, ভারতের ভুল নীতি বা বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের আগ্রাসন ইত্যাদি ব্যাপারে বিএনপির অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। বিএনপি এই সমস্ত বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী, সার্বভৌমত্ব বিরোধী প্রতিটি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান অতীতে নিয়েছে, ভবিষ্যতেও নেবে। তবে ভারতের পণ্য বর্জন বা ইন্ডিয়া আউটের মতো কোনও কর্মসূচিতে বিএনপি আপাতত যাবে না।

তাহলে বিএনপি নেতারা কী ভারতীয় পণ্য পুড়িয়ে ফেলবে এমন প্রশ্নের উত্তরে স্থায়ী কমিটির ওই সদস্য বলেন, আমরা কোন দেশের পণ্য পুড়ানো বা কোন দেশের পণ্য বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করিনি। এ ধরনের কর্মসূচিতে বিএনপি যাচ্ছে না।

ভারত বিরোধী   বিএনপি   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘বিএনপি নেতাদের কথা শুনলে জিয়াউর রহমানও লজ্জা পেয়ে যেতেন’

প্রকাশ: ০১:৩৯ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে। জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।


বিএনপি   ড. হাছান মাহমুদ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি ইফতার পার্টিতেও মিথ্যাচার করছে: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।

তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।

এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।


ওবায়দুল কাদের   রাজনীতি   সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এবার কি ব্যারিস্টার খোকনও বিদায় নেবেন বিএনপি থেকে?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির জনপ্রিয় নেতা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন। শুধু তিনি নন, তার সঙ্গে আরও কয়েকজন এবারের নির্বাচনে চমক দেখিয়ে আওয়ামীপন্থী প্যানেলকে ধরাশায়ী করে সুপ্রিম কোর্টে জায়গা করে নিয়েছেন।

এ ধরনের পেশাজীবীদের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলকে হারিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করা একটা বিরাট অর্জন এবং ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সেই অর্জনটি করেছেন। কিন্তু তার এই অর্জনের পরপরই বিএনপির মধ্যে তাকে নিয়ে নানারকম প্রশ্ন উঠেছে। মাহবুব উদ্দিন খোকন কেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেন তা নিয়েও বিএনপির কোনো কোনো উগ্রবাদী নেতা প্রশ্ন তুলেছেন। যেখানে বিএনপি সব ধরনের পেশাজীবীদের নির্বাচন বর্জন করছে সেখানে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে কেন খোকন অংশগ্রহণ করল—এটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপির কেউ কেউ। 

অবশ্য ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট কৌশলগত কারণে বিএনপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এই কারণেই তিনি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে একজন জনপ্রিয় মুখ। তিনি একাধিকবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছিলেন। বিএনপির বাইরেও তার একটা প্রভাব বলয় রয়েছে এবং জনপ্রিয়তা রয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে তিনি স্রোতের বিপরীতে থেকে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। কিন্তু তার জনপ্রিয়তা বিএনপির নেতারাই মেনে নিতে পারছেন না। খোকন যদি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সভাপতি হন, তাহলে অনেক বিএনপি নেতাই তার পিছনে চলে যাবে—এ রকম চিন্তা থেকেই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির এই নির্বাচনকে বয়কট করার ডাক দিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। 

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এক চিঠির মাধ্যমে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদেরকে পদ গ্রহণ না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু মাহবুব উদ্দিন খোকন যেহেতু সুপ্রিম কোর্টে বেড়ে ওঠা একজন আইনজীবী এবং আইনজীবীদের সঙ্গে তার এক ধরনের আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে, তাই তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। কারণ সুপ্রিম কোর্ট কোন জাতীয় নির্বাচন নয়। এখানে যে সমস্ত আইনজীবীরা তাকে ভোট দিয়েছেন, তারা সকলেই বিএনপির কর্মীও নন, বরং এখানে বেশ কিছু সাধারণ ভোটার রয়েছেন যারা আওয়ামী লীগ, বিএনপি কোন দলই সমর্থন করেন না। তারা মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ভোট দিয়েছেন। এখন যদি মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির দায়িত্ব গ্রহণ না করেন সেটা হবে তাদের সঙ্গে প্রতারণা। আর এটি মাহবুব উদ্দিন খোকন করতে চাননি। আর এটি করতে না চাওয়ার কারণে তিনি আইনজীবী ফোরামের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। এর ফলে বিএনপির মধ্যে কী প্রতিক্রিয়া হয় সেটাই দেখার বিষয়। 

বিএনপি যেমন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। অনেকেই মনে করেন যে, বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং মির্জা ফখরুল বা অন্য নেতারা যদি সংসদে যান তাহলে তারেক জিয়ার কর্তৃত্ব খর্ব হয়ে যাবে। সে কারণেই তারেক জিয়া নির্বাচন থেকে তাদেরকে দূরে রাখছেন। একইভাবে যদি মাহবুব উদ্দিন খোকনও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হন সেক্ষেত্রে বিএনপির অনেক অপাঙ্ক্তেয় গুরুত্বহীন অজনপ্রিয় নেতাদের অবস্থা নড়বড়ে হয়ে যাবে এবং তারা খোকনের কাছে ম্লান হয়ে যাবেন—এরকম বিবেচনা থেকে তাকে নির্বাচন দায়িত্ব গ্রহণ থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাহবুব উদ্দিন খোকন এটি মানছেন না। এরকম পরিস্থিতিতে সামনের দিনগুলোতে মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপির টার্গেট হন কিনা সেটা দেখার বিষয়। অতীতে দেখা গেছে যে, বিএনপিতে যারাই জনপ্রিয় হয়েছেন তাদেরকেই দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বা দলে কোণঠাসা করা হয়েছে। এবার কি মাহবুব উদ্দিন খোকনের পালা?

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন   সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি   সভাপতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন