নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৮ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির মনোনয়ন বাণিজ্যের টাকা উদ্ধার ঘটনা নিয়ে রীতিমত জাতীয় পার্টিতে তোলপাড় চলছে। সদ্য বিদায়ী মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং এরশাদের প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সচিব সুনীল শুভ রায়ের বাড়ি থেকে একটি গোয়েন্দা সংস্থা বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করেছে বলে জাতীয় পার্টির বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। সূত্রের দাবি, ঐ দুই নেতার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনার পর থেকেই পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ সিএমএইচ হাসপাতালে অনেকটা আত্মগোপনে চলে যান।
জাপার একাধিক সূত্র জানায়, মনোনয়ন বাণিজ্যের সঙ্গে যারা যুক্ত ইতিমধ্যে সেসব নেতা গাঁ ঢাকা দিয়েছে। জাপা মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে পদচ্যুত করার পর থেকে তাঁর কোন হদিস মিলছে না। এদিকে, নির্বাচন কমিশনে তার মনোনয়ন বাতিল হলেও সে বিষয়ে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। গতকাল রাতে এ বিষয়ে নতুন মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গার সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক চুন্নু। অবিলম্বে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য পার্টি চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
একাধিক সূত্র জানায়, মোটা অংকের বিনিময়ে বেশ কয়েকটি লোভনীয় আসন বিক্রি করেছেন মনোনয়ন বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত জাপার বেশ কয়েকজন নেতা। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত যারা তারা সবাই এরশাদের ঘনিষ্ঠ। জানা গেছে, ‘খ’ অদ্যাক্ষরের সাবেক এক মেজর এবং ‘চ’ অদ্যাক্ষরের এবং ‘স’ অদ্যাক্ষরের এই তিনজনই মনোননয়ন বাণিজ্যের মূল হোতা। বড়গুনার এক আসন ৩ কোটি টাকায় আপোষরফা হয়। ঐ ব্যবসায়ী টাকাও দেন মহাসচিবের বিশ্বস্তদের। কিন্তু শেষ অবধি তালিকায় তার নাম যুক্ত না হওয়ায় হতাশা এবং ক্ষোভ নিয়ে দেখা করেন বেগম রওশন এরশাদ এবং মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গার সঙ্গে। গত কয়েকদিন যাবত এমন অনেক নেতাই ধরনা দিচ্ছেন নয়া মহাসচিবের কাছে। মনোনয়ন বাণিজ্যের বিষয় নিয়ে মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এমন ঘটনা তিনি শুনেছেন এবং বিষয়টি নিয়ে দলের প্রেসিডিয়াম বৈঠকে আলোচনা হবে। এ বাণিজ্যে যারা যুক্ত তাদের অবশ্যই শাস্তি হবে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।