নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৪ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংককে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি ফুসফুসের ক্যান্সার এবং ডিমেনশিয়া (ভুলে যাওয়া) রোগে আক্রান্ত। এই রোগে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা খুব বেশি ভালো নয়। তিনি কাউকে চিনতে পারছেন না বলেও জানা যায়। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কাণ্ডারি পরিক্ষিত নেতা সৈয়দ আশরাফ বর্তমানে ব্যাংককের হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তারপরেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের উপরেই আস্থা রেখেছেন। এরআগে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের বোর্ডের সভায় দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আশরাফ যত দিন জীবিত আছে, যতক্ষন তার শ্বাস আছে ততক্ষন আমি ঐ আসনে অন্য কাউকে মনোনয়ন দিবনা। সৈয়দ আশরাফকে মনোনয়ন দেওয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কত মমত্বসীল এবং সৈয়দ আশরাফের প্রতি তার যে অগাধ আস্থা ও ভালবাসা তা আবারও প্রমান হয়ে গেল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী প্রচারণায় কিশোরগঞ্জে যাবেন। তিনি সৈয়দ আশরাফের জন্যে ভোট চাইবেন এবং বলবেন, আমার ছোট ভাই আশরাফ মৃত শয্যায় তাকে আপনারা সকলে ভোট দিন।
উল্লেখ্য সৈয়দ আশরাফ পাদ প্রদীপে আসেন ওয়ান ইলেভেনের সময়। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা তখন আদর্শের পরীক্ষায় হাবুডুবু খাচ্ছেন। লোভের কাছে বশ্যতা স্বীকার করেছেন অনেকে। যখন প্রিয় নেত্রীর গ্রেপ্তারে হতবিহ্বল কর্মীরা। হতাশা, বিভক্তি আর অজানা আশঙ্কায় বিপর্যস্ত আওয়ামী লীগ। এসময় প্রয়াত জিল্লুর রহমান, বেগম মতিয়া চৌধুরীর সঙ্গে সৈয়দ আশরাফ শেখ হাসিনার পক্ষে এক অনবদ্য অবস্থান নেন। দলকে টেনে তোলেন খাদ থেকে।
বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা সৈয়দ আশরাফ এর আগে দায়িত্ব পালন করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে। এছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও তিনি দীর্ঘদিন সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।