নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিকদের জন্য আওয়ামী লীগ ৬০টি আসন ছেড়ে দিয়েছে। এই ৬০টি আসন পাওয়ায় খুশি হতে পারেনি জোটের শরিকরা। জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টি ৪৫ টি আসন পাওয়ায় এখনো আনুষ্ঠানিক কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে দলের কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, আমরা নুন্যতম ৫০টি আসন আশা করেছিলাম।
অপরদিকে জাতীয় পার্টি ছাড়াও ১৪ দলীয় মহাজোটের অন্য শরিকদের যে আসন দেওয়া হয়েছে, সেই আসন বন্টনেও ১৪ দলের অনান্য শরিকরা সন্তুষ্ট নয়। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এটাই সর্বোচ্চ ছাড়। এর পরেও কেউ যদি সন্তুষ্ট না হতে পারে, তাহলে তাঁরা নিজস্ব প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারে। নৌকা প্রতীক এর চেয়ে বেশি কাউকে দেওয়া হবে না।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আজ সকালে মনোনয়ন প্রতীক সংক্রান্ত চিঠি প্রার্থীদের কাছে হস্তান্তর করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসময় বলেন, জোটের শরিকদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেই এই প্রতীক বরাদ্ধ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গতকাল রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধামমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মহাজোট শরিকদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ তিনি জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদের সঙ্গে কথা বলেন।
সর্বশেষ আসন বন্টনে দেখা যাছে, ওয়ার্কার্স পার্টিকে দেওয়া ৫টি আসন, বিকল্পধারাকে দেওয়া হয়েছে ৩ টি আসন, জাসদ (ইনু) ৩টি আসন, জাসদ (নুরুল আম্বিয়া) পেয়েছেন ১টি আসন, তরিকত ফেডারেশন পেয়েছে ১ টি আসন এবং আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিকে (জেপি) দেওয়া হয়েছে ২টি আসন। এর বাইরে যে ৪৫ টি আসন আছে, সেগুলো জাতীয় পার্টিকে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় পার্টীকে এর আগে ৩৫ টি আসন দেওয়ার কথা ছিল, তবে জাতীয় পার্টির মধ্যে নানা রকম টানাপোড়নের কারণে জাতীয় পার্টিকে ৪৫ টি আসন দেওয়া হচ্ছে বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ১৪ দলীয় মহাজটের অনেকেই এই আসন বন্টন নিয়ে অসন্তুষ্ট হলেও, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকলের সঙ্গে ব্যাক্তিগতভাবে কথা বলেছেন। আগামী নির্বাচনে জয়ের কোন বিকল্প নাই এটা বুঝিয়ে তাদেরকে যে আসনে দেওয়া হয়, সেটা নিয়েই নির্বাচন করতে অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি শরিকদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে জয়ী হলে আওয়ামী লীগ তার শরিকদের জন্য অনেক কিছুই করবে।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।