নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
এবারের নির্বাচনে বিএনপি দুইটি শরিক জোট নিয়ে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা এঁটেছিল। ২০ দলীয় ঐক্যজোট দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপির নেতৃত্বে চলছিল। কার্যত ২০০১ সাল থেকেই এই জোট একসঙ্গে কাজ করছে। জোটে বিএনপি এবং জামাত হলো প্রধান দুই দল। অন্যদিকে জামাতের কলঙ্ক মোচনের জন্যই নির্বাচনের আগে আগে বিএনপি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে। এখন এই দুই শরিকের দাবি মেটাতেই বিএনপিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি অনিষ্পন্ন রেখেই ২০ দল নিয়ে আবার নতুন সঙ্কটে পড়েছে বিএনপি।
২০ দলের একাধিক শরিক দল বলছে, যদি আসন ভাগাভাগি নিয়ে বৈষম্য করা হয় তবে তারা জোট থেকে বেরিয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে আলাদাভাবে নির্বাচন করারও পরিকল্পনা করছে তারা। ২০ দলের দ্বিতীয় প্রধান দল জামায়াতে ইসলামীকে ২৫টি আসনে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী এতে সন্তুষ্ট নয়। তারা অন্তত ৩০টি আসন দাবি করছে। এছাড়াও ২০দলের অন্যতম শরিক এলডিপি, বিজেপি এবং কল্যাণ পার্টির কেউই আসন বন্টন নিয়ে সন্তুষ্ট নন।
এলডিপির একজন নেতা বলেছেন, যেখানে নাগরিক ঐক্যের মতো নাম সর্বস্ব দলকে ৯টি আসনে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়া হয়েছে, সেখানে এলডিপিকে ৪টি আসন দেওয়া অন্যায্য এবং অগ্রহণযোগ্য। একইভাবে ২০ দলের ইসলামী শরিক দলগুলো বলছে, ঐক্যফ্রন্টের নাম-গোত্রহীন দলগুলোকে যেভাবে ছাড় দেওয়া হয়েছে ২০দলের প্রতি ততটাই অবিচার করা হচ্ছে।
বিএনপির নির্বাচন সংক্রান্ত পরিচালিনা কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আসন ভাগাভাগি নিয়ে আমাদের কিছু সমস্যা আছে। তবে আমরা এগুলো কাটিয়ে ফেলতে পারব বলে আশা করছি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ২০ দলের মূল সমস্যা হচ্ছে, তারা কতটি আসন পাবে সেটা না ভেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে বেশিমাত্রায় ছাড় দেওয়া নিয়ে অভিযোগ করছে। তারা মনে করছে, যেভাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে, সেভাবে যদি ২০ দলকে ছাড় দেওয়া না হয় তা হবে অগ্রহণযোগ্য। কারন ২০ দলই দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির দুঃসময়ের সঙ্গী হয়ে আছে।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।