নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
বিএনপির মনোনয়নে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত, বিতর্কিত, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের জয়জয়কার দেখা গেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি ২০৬ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। বিএনপি তার মনোনয়নে সেই সমস্ত বিতর্কিত ব্যক্তিদের উপরই আস্থা রেখেছে। রাজশাহীর একটি একটি আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন ব্যারিস্টার আমিনুল হক। বাংলা ভাইকে লালন এবং জঙ্গিবাদ উত্থানের নেপথ্য নায়ক হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন বলে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়। জঙ্গি মদদদাতা, দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া, নেতাকর্মীদের মতামত অগ্রাহ্য করে আত্মীয়-স্বজনদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই আমিনুল হকের বিরুদ্ধে।
ঢাকা-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী হতে চেয়েছেন আমান উল্লাহ আমান। দণ্ডিত আসামি হওয়ার কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেন বিএনপির এই নেতা। শুনানিতে তার আবেদন স্থগিত করা হয় এবং শুনানির তৃতীয় দিন তা সুরাহা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। মনোনয়ন দেয়া হয়েছে আমান উল্লাহ আমানের ছেলে ইরফান আমানকে।
এছাড়াও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসও এবার মনোনয়ন পেয়েছেন। চুড়ান্ত মনোনয়নেও মির্জা আব্বাসের নাম রয়েছে। এছাড়াও মনোনয়ন তালিকায় রয়েছেন আজিজুল বারী হেলাল, দৌড় সালাউদ্দিন নামে পরিচিত সালাউদ্দিন আহমেদ। সালাউদ্দিন নানা সময়ে নিজ দলের নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়ে আলোচনায় এসেছেন। দুর্নীতর দায়ে অভিযুক্ত এবং দন্ডিতও এই হেলাল ও সালাউদ্দিন। ফেনীতে আছেন ভিপি জয়নাল। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। বিগত আন্দোলন-সংগ্রামেও তিনি ছিলেন প্রায় অনুপস্থিত। গত কয়েক বছর ধরে তিনি পরিবার নিয়ে রাজধানীতেই বসবাস করছেন। তার বিরুদ্ধে স্থানীয়দের রয়েছে নানা দুর্নীতির অভিযোগ। এভাবে একাধিক বিতর্কিত ব্যক্তি এবার বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।