নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
এবারের নির্বাচনে স্বাধীনতা বিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠন জামাতে ইসলামীর সমর্থক অন্তত ১০০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। নির্বাচন নিয়ে জামাতের গোপন মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি জামাতের ২৫জন প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতীক দিয়েছে। কিন্তু জামাত বলছে বিভিন্ন দলে তাঁদের সমর্থক শুভাকাঙ্ক্ষী আরও ৭৫ জন প্রার্থী রয়েছে।
জামাত আশা করছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির পরেও আগামী জাতীয় সংসদে জামাত সমর্থকরা ৫০টি আসনে বিজয়ী হবে। এটা তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার পথে এক বড় পদক্ষেপ বলে তারা মনে করছে। উল্লেখ্য, একাত্তরের ঘাতক গোলাম আজম ১৯৯১ সালে জামাতের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ শীর্ষক এক মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন। ঐ মূল্যায়ন প্রতিবেদনে ২০৩০ সালের মধ্যে জামাতের ক্ষমতায় যাওয়া এবং বংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র হিসবে প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। ঐ মূল্যায়ন প্রতিবেদন জামাতের মজলিশে সুরায় অনুমোদন হয়। ৯২ সালের ঐ মজলিশে সুরার বৈঠকেই, গোলাম আজমকে প্রকাশ্যে জামাতের আমির হিসেবে ঘোষণা করা হয়। জামাত তার গোপন প্রতিবেদনে বলেছে, জামতের নেতা-কর্মীদের উপর বর্বর নিপীড়ন নির্যাতনের পরও জামাত এখন আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়েছে। সাথী কর্মীরা আগের চেয়েও নিবেদিত হয়েছেন ইসলাম প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনে জামাত তাঁর নিজস্ব প্রতীক দাড়িপাল্লা নিয়ে নির্বাচন না করলেও কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ।’
জানা গেছে, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জামাতের ২৫ জন নির্বাচন করছেন। আরও দশজন জামাতের স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে। বিএনপি করেন কিন্তু জামাতের নীতি ও আদর্শে বিশ্বাসী এমন প্রার্থী আছেন ১২ জন। এছাড়াও ২০ দলের শরিকদের মধ্যে ‘গোপন জামাত’ আরও তিনজন মনোনয়ন পেয়েছেন। জাতীয় পার্টিতে থাকা জামাতের ৫জন এবার লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। এছাড়া বিভিন্ন ইসলামী দলে থাকা জামাতের আরও ২২ জন এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগেও অন্তত ৪জন মনোনয়ন পেয়েছেন যারা জামাতের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং সমর্থক। এছাড়াও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টেও জামাতের শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছে বলে জামাত সূত্রে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। খোজ নিয়ে জানা গেছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একজন শীর্ষ নেতা জামাতের ঘনিষ্ট। দীর্ঘদিন ধরে জামাতের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। জানা গেছে, আওয়ামী লীগ থেকে সদ্য বিএনপিতে যোগ দেওয়া এক নেতাও জামাত সমর্থক। জামাতই তাঁকে বিএনপিতে যেতে তদবির করেছে। জামাত মনে করছে, সময় ও সুযোগ মতো তাঁদের শুভাকাঙ্ক্ষীরা প্রকাশ্য হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।