নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৭ এএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৮
জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে চূড়ান্ত যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ এবং পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ। গতকাল সরকারের সঙ্গে দফায়-দফায় বৈঠক করে আসন বণ্টন নিশ্চিত করেছেন জাপার নয়া মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা। জাতীয় পার্টি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছে যে কয়টি আসন চেয়েছিল তা কোনভাবেই দেওয়া হয়নি। এরশাদ শেষ মুহূর্তে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে সরিয়ে সরকারের এলজিইডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে নতুন মহাসচিব করেছিলেন সরকারের সঙ্গে আসন দরকষাকষিতে যাতে লাভবান হয়।
মহাসচিবের দায়িত্ব পেয়ে রাঙ্গাও মোটামুটি আশাবাদী ছিলেন আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত আসন বাগিয়ে নিতে পারবেন। কিন্তু আসন এবং কিছু প্রার্থী প্রশ্নে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছিল অনড়। বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন নিয়ে বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে এরশাদের যুদ্ধ শুরু হয়। এরশাদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী আসন বন্টন করতে গেলে বাধে বিপত্তি। নয়া মহাসচিবকে সাফ জানিয়ে দেন রওশন এরশাদ, ‘পার্টিতে আমিই সব, আমার কথা অনুযায়ী দল পরিচালিত হবে। সরকারের সাথে যে সমঝোতা হবে তা আমার কথাতেই হবে।’
বেগম রওশন এরশাদের এমন মনোভাবের কথা এরশাদকে জানাতেই তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেন তিনি। এক পর্যায়ে এরশাদ বেগম রওশন এরশাদকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘হু ইজ সি’। এদিকে, যারা মনোনয়ন প্রাপ্তির আশায় এরশাদ এবং সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে টাকা দিয়েছিলেন গতকাল শুক্রবার সেসব প্রার্থী দিনভর দৌড়ঝাঁপ করেছেন নয়া মহাসচিবের বাসভবনে। কেউ কেউ সাক্ষাতের চেষ্টা চালিয়েছেন বেগম রওশন এরশাদের কাছে কিন্তু রওশন এরশাদ কারও সঙ্গেই দেখা করেনি।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।