নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৮ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৮
২০ দলীয় জোট, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, জামাতকে ৫৪ টি আসন ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। এর মধ্যে ড. কামাল হোসেনের গণফোরামকে ৭টি আসন দিয়েছে। গণফোরামকে মনোনয়ন দেওয়া আসনগুলো হলো সুব্রত চৌধুরী ঢাকা-৬, মোস্তফা মহসীন মন্টু ঢাকা-৭, এএইচ এম খালেকুজ্জামান ময়মনসিংহ-৮, রেজা কিবরিয়া হবিগঞ্জ-২, অধ্যাপক আবু সাইদ পাবনা-১, মে. জে. (অব.) আমসা আমিন কুড়িগ্রাম-২ এবং সুলতান মোহাম্মদ মনসুর মৌলভীবাজার-২।
এছাড়া মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য ও আ স ম রবের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলকে (জেএসডি) ৫টি করে আসন দিয়েছে বিএনপি।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া-২ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন। এছাড়া দলটির হয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে এসএম আকরাম, রংপুর-৫ মোফাখখারুল ইসলাম নবাব, রংপুর-১ শাহ মো. রহমতউল্লাহ ও বরিশাল–৪ কে এম নুরুর রহমান ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন।
জেএসডির মনোনয়নপ্রাপ্তরা হলেন-লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে আ স ম আব্দুর রব, কুমিল্লা-৪ আসনে আব্দুল মালেক রতন ও ঢাকা-১৮ আসনে শহিদুল উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। কিশোরগঞ্জ-৩ আসনেও জেএসডির প্রার্থী লড়বেন বলে জানানো হয়েছে। তবে তার নাম ঘোষণা করা হয়নি।
অলি আহমেদের এলডিপির আসনগুলো হলো, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে অলি আহমেদ, কুমিল্লা-৭ আসনে রেদুয়ান আহমেদ, লক্ষ্মীপুর-১ শাহাদত হোসেন সেলিম, চট্টগ্রাম-৭ আসনে নুরুল আলমও ময়মনসিংহ-১০ আসনে সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ।
ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগকে দুই আসনে ছাড় দিয়েছে বিএনপি। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর দলের পক্ষ হয়ে লড়বেন তার মেয়ে ব্যারিস্টার কুঁড়ি সিদ্দিকী (টাঙ্গাইল-৮)। অপর আসনটি টাঙ্গাইল-৪। এ আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে দু’জন প্রার্থী আছেন। একজন কাদের সিদ্দিকীর ভাই আজাদ সিদ্দিকী। অপরজন ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী। এদের মধ্যে যেকোনো একজন ধানের শীষ প্রতীক পাবেন। এটা রোববার সিদ্ধান্ত হবে।
ঢাকা-১৭ (গুলশান, বনানী, ঢাকা সেনানিবাস ও ভাষানটেকের কিছু অংশ) আসন থেকে ধানের শীষের মনোনয়ন পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ।
বিএনপি থেকে একটি আসন পেয়েছে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি। চট্টগ্রাম-৫ আসনটি কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে দেওয়া হয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শামা ওবায়েদ সারাহ কুক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।