নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৯ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
মোর্শেদ খান ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। কোনো রাখঢাক না রেখেই বলতেন, টাকা দিয়ে নিলামে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ কিনেছি। ১৯৯১-৯৬ সালে বিএনপি সরকার তাঁকে মোবাইল ফোনের একতরফা ব্যবসা দিয়েছিল। তারেক জিয়ার আর্থিক পৃষ্ঠপোষকদের অন্যতম তিনি। অবৈধ পন্থায় তারেক কে টাকা পাঠাতে গিয়ে মানি লন্ডারিং মামলার আসামি তিনি। তবুও নির্বাচনের স্বাদ জেগেছিল। মোটা অংকের বিনিময়ে চট্টগ্রাম-৮ আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছিলেন। কিন্তু রিটার্নিং অফিসার তাঁর মনোনয়ন বাতিল করে দেয়। গতকাল নির্বাচন কমিশনে আপিল করে মনোনয়ন ফিরে পান মোর্শেদ খান। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাঁর মনোনয়ন বৈধ করলে কি হবে, তারেক আজ তাঁর মনোনয়ন বাতিল করে দিলেন। তাঁর বদলে চট্টগ্রাম-৮ আসনে মনোনয়ন পেলেন আবু সুফিয়ান।
মোর্শেদ খানের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে আজ লন্ডন সময় সকাল ৮ টার মধ্যে তারেকের কাছে টাকা পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু কিছুদিন ধরেই ব্যবসায়িক মন্দা যাচ্ছে তাঁর। সিটিসেলও বন্ধ হয়ে গেছে। তাই টাকা পাঠাতে পারেননি। অবশ্য দুদকের নজরদারিতে থাকার জন্যই টাকা পাঠাতে পারেননি বলে জানিয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। যে কারণেই হোক টাকা না পেয়ে ক্ষুব্ধ তারেক নাম কেটে দিলেন মোর্শেদ খানের।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।