নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৬ পিএম, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮
বিএনপির প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও ইকবাল মাহমুদ টুকুর প্রার্থিতা গ্রহণ করতে নির্বাচন কমিশনকে নিদের্শ দিয়েছেন হইকোর্ট। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে এই দু’জনের করা আপিলের শুনানি শেষে আজ সোমবার এই রায় দেওয়া হয়েছে।
নিজ নিজ আসনে মনোনয়ন ফিরে পেতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তারা গতকাল রোববার পৃথকভাবে রিট করেন। এর আগে ৬ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন নাটোর-২ আসনে দুলু ও সিরাজগঞ্জের একটি আসনে টুকুর মনোনয়ন বাতিল করেন। আপিলে ইসির যুক্তি ছিল ফৌজদারি মামলায় দণ্ড থাকায় তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হল। এর আগে নিজ এলাকার রিটার্নিং অফিসার তাদের মনোনয়ন বাতিল করেন। তবে দুলুর আইনজীবী জানান, যে মামলায় তার মক্কেলের দণ্ডের কথা বলা হয়েছে, সে মামলায় তার দণ্ড ও সাজা স্থগিত রয়েছে। তিনি বলেন, নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে তার করা আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই দণ্ড-সাজা স্থগিত করা হয়। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগেও যায়নি। ওই আইনজীবী আরও জানান, এমনকি যে মামলায় তার সাজা হয়েছে, তা বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের দণ্ডবিধিতে হয়েছে। এটি নৈতিক স্খলনের মধ্যে পড়ে না। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়েছে।
তালুকদার দুলুর মনোনয়নপত্র বাতিলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের অংশ নিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবীরা।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।