নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩০ পিএম, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
ঢাকা-৬ আসন থেকে নির্বাচন করছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। এই আসনটি বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনেও ঢাকায় বিএনপি যে একটি আসন পেয়েছিল সেটি ছিল এই আসনটি। খোকা ঢাকার নির্বাচিত মেয়র ছিলেন। এলাকায় বিএনপি বলতেই খোকার পরিবার।
এবার নির্বাচনে দণ্ডিত হওয়ার কারণে খোকার ছেলে এই আসনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঐক্যের স্বার্থে বিএনপি আসনটি ছেড়ে দেয় গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরীকে। অ্যাডভোকেট সুব্রত এখানে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন। প্রথম দিনই তিনি বিএনপির স্থানীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে অ্যাডভোকেট সুব্রত জানতে চান খোকা ভাই কীভাবে নির্বাচন করতেন? এসময় স্থানীয় বিএনপির একজন নেতা বলেন, ‘খোকা ভাই প্রতি ভোটকেন্দ্রের জন্য একটি করে কমিটি করতেন। ঐ কমিটির কাজ ছিল কেন্দ্রে যত ভোটার আছে তাদের কাছে অন্তত ১০বার যাওয়া। ভোটের দিন তাদের কেন্দ্রে আনার ব্যবস্থা করা। পোলিং এজেন্ট ঠিক করা।’ অ্যাডভোকেট চৌধুরী এটা শুনে খুবই পুলকিত হলেন। বললেন, ‘এটা তো খুবই ভালো পদ্ধতি। আমরা এটাই করি।’
এসময় বিএনপির একজন স্থানীয় নেতা বলেন, ‘তাইলে খরচাপাতি দেন কমিটি করি।’ খরচাপাতি কত? জানতে চান সুব্রত। স্থানীয় নেতা বলেন, ‘প্রতি কেন্দ্রে দিনে ১ লাখ টাকা।’ টাকার কথা শুনে ভড়কে যান সুব্রত চৌধুরী। বলেন, ‘ঠিক আছে, আজ থাক, পরে আবার বসবো।’ এরপর সুব্রত চৌধুরী দ্রুত সরে পড়েন সেখান থেকে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।