নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৫ পিএম, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
ঢাকা-৪ আসনে কঠিন চ্যালেঞ্জ এর মুখে পড়েছেন জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। মহাজোটের হয়ে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন তিনি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে এ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। এবার আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী মোঃ আওলাদ হোসেন এবং এডভোকেট সানজিদা ইসলাম একাট্টা হয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ জানান জাপা প্রার্থী বাবলাকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন না দিতে। শেষ মুহূর্তে জাতীয় পার্টির অনড় মনোভাবের কারণে বাবলাই হন মহাজোটের চূড়ান্ত প্রার্থী আর নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়েন আওয়ামী লীগের এডভোকেট সানজিদা এবং ড. মোঃ আওলাদ হোসেন।
কিন্তু নির্বাচনী মাঠে কোনভাবেই দাঁড়াতে পারছেন না জাপা প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা নির্বাচনী মাঠ থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছেন। জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক শক্তি দুর্বল হওয়াতে তারাও বেশ বেকায়দায় রয়েছে এ আসনে। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা-কর্মী জানান, বিগত দিনে বাবলা বাহিনীর অত্যাচারে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। অনেককেই আবার জেল-নির্যাতন সইতে হয়েছে। এসব বাস্তবতায় জাপার প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে কোনভাবেই মানতে পারছে না আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। আর এ আসনে বিএনপির প্রার্থী নবীউল্লাহ নবী খুব শক্ত প্রার্থী। এলাকাবাসীর ধারণা, মহাজোটের প্রার্থী বাবলার পক্ষে শেষ পর্যন্ত যদি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কাজ না করে তাহলে কঠিন চ্যালেঞ্জ এর মুখেই পড়তে হবে বাবলাকে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।