নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১১ পিএম, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
সিঙ্গাপুরে উচ্চতর চিকিৎসাধীন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সিঙ্গাপুর থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের বার্তা দিয়েছেন ‘‘অপেক্ষা করো-রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই’’। এমন বার্তায় হঠাৎ করেই প্রার্থীরা অনেকটা নড়েচড়ে বসেছেন।
মহাজোটের বাইরে লাঙল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির ১৪২জন প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে লড়াই করছেন। অধিকাংশ প্রার্থীরাই দ্বিধা এবং সংশয়ে রয়েছেন পার্টি প্রধান দেশের বাইরে থেকে এমন বার্তা কেন দিলেন? অনুসন্ধান করে জানা গেছে, বিএনপি যদি কোন কারণে নির্বাচন বর্জন করে তাহলে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরাই মাঠে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এরশাদের সফরসঙ্গী হিসেবে সিঙ্গাপুরে অবস্থারত পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু জানান, ভোটের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি ফ্যাক্টর। তার মতে, মহাজোট জাতীয় পার্টির সাথে যে অবিচার করেছে তাতে করে পার্টি চেয়ারম্যান চরম বিক্ষুব্ধ। তিনি জানান, ঢাকা-১৭ আসনে এরশাদকে এবার লড়াই করতে হবে এক সময়ে তার দলের মহাসচিব নাজিউর রহমান মঞ্জুর ছেলে এক্যফ্রন্ট প্রার্থী ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থর সাথে। এটি তার জন্য খুবই অসম্মানের। তাছাড়া ঐ আসনে অন্য দুটি দলের প্রধান বিএসএফ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এবং তৃলমূল বিএনপির চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা। এছাড়া আওয়ামী লীগ প্রার্থী নায়ক ফারুক তো আছেনই। আর এসব কিছু মিলে জাপা চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের মনে দোলাচল রয়েছে। নির্বাচনের আগ মুহুর্তে কৌশলী এরশাদ যে কোন হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে পারেন বলে মনে করছেন জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।