নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০১ পিএম, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়েই বিএনপি কর্মীদের কাছে ধাওয়া খেলেন মান্না। বগুড়া-২ আসনে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। বগুড়ায় গিয়েই তিনি স্থানীয় বিএনপির তোপের মুখে পড়েন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ থেকে জানা যায়, বগুড়া-২ আসনে প্রার্থী হয়ে গতকাল ১১ ডিসেম্বর মান্না এক সমন্বয় সভা ডাকেন। সভায় তিনি ঐক্যফ্রন্টের সকল দলের সদস্যদের উপস্থিত থাকতে বলেন। সভায় উপস্থিত হয়ে মান্না নির্বাচনে কি করতে হবে, না হবে সে সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। তাঁর বক্তব্যের পর স্থানীয় বিএনপি নেতা বলেন, ‘এখানে কর্মী সভায় আপনার দলের ক’জন উপস্থিত হয়েছেন? একজনও তো নাই। বগুড়ায় আসছেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে।‘ বিএনপির ওই নেতার কথায় বিরক্ত হয়ে মান্না বলেন, ‘কে কোন দলের তা কোন বিষয় নয়, বিষয় হলো ‘ধানের শীষ’ প্রতীক। হঠাতই এসময় বহিরাগতদের ঠেকাও, ধানের শীষ বাঁচাও স্লোগান ওঠে। মান্না তাঁদের থামতে বললে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ধাওয়া খেয়ে মান্না কোনমতে গাড়িতে ওঠেন।
শুধু মান্না নয়, জাতীয় ঐক্যফন্টের সব নেতাকেই এলাকায় বিএনপির প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে। ঢাকা-৭ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন গণফোরামের নেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টু। এই এলাকায় বিএনপির মুলশক্তি হলো পিন্টু পরিবার। পিন্টু না থাকলেও তাঁর পরিবারের প্রভাব এখানে প্রবল। এই পরিবারের পক্ষ থেকে মোস্তফা মোহসিন মন্টুকে বলা হয়েছে ‘রোহিঙ্গা’। আজ বুধবার স্থানীয় বিএনপি কর্মীসভা করে বলেছে, নির্বাচনে তাঁরা মন্টুর পক্ষে কাজ করবে না।
ঢাকা-৭ এর চেয়েও খারাপ অবস্থা গাজীপুর-৩ আসনে। এখানে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়া হয়েছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ইকবাল সিদ্দীকিকে। বিএনপির স্থানীয় একজন নেতা বলেছেন, ৩০ বছর রাজনীতি করি এ নামে এই এলাকায় কোন রাজনীতিবিদ চিনি নাই। এখন অন্যদল থেকে চোর, বদমায়েশ, টাউটদেরও মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে।‘ তিনি বলেন, ‘যাকে চিনি না তারজন্য ভোট করবো কীভাবে?’
এভাবে দেশের সর্বত্র যেখানে যেখানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরীকদের ‘ধানের শীষ’ প্রতীক দেওয়া হয়েছে, তাঁরা প্রতিরোধের মুখে পড়েছেন। একমাত্র জামাতকে বিএনপি গ্রহণ করেছে। কিন্তু গণফোরামের ৭ জন, জেএসডির ৪জন, নাগরিক ঐক্যের ৪জন এবং কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ২জন প্রার্থী এলাকায় ঢুকতেই পারছেন না। এনিয়ে এই প্রার্থীরা ড. কামাল হোসেনের কাছে অভিযোগ করেছেন। ড. কামাল হোসেনও বিষয়টি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলেন। মির্জা ফখরুল ড. কামাল হোসেনকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘এসনব সাময়িক উত্তেজনা।‘ আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। কর্মীরা একটু ইমোশনাল।‘ কিন্তু ড. কামাল বিষয়টি পছন্দ করেননি। তিনি এনিয়ে বৈঠক করা প্রস্তাব দিয়েছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক
পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের
মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেনি তাদের বিষয়ে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলীয়
নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময়মতো অবশ্যই
এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে
আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি
এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে
না আসে। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে। কেউ কেউ বলেছেন আমরা
বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও কেউ কেউ প্রত্যাহার
করেছেন, কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা তারপরেও ইচ্ছা
করলে করতে পারবেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন,
‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা
নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার
কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবে না সময়মতো দল ব্যবস্থা
নেবে’।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি একতরফা কোনো
সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়টি এসে যায়। আওয়ামী লীগও একই সময়ে সমাবেশের
ডাক দেয়। তবে এটা পাল্টাপাল্টি নয়।
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক
কার্যালয়ে হওয়া উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি
এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত
রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক
আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।
মন্ত্রী-এমপি প্রার্থিতা প্রত্যাহার ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেনি তাদের বিষয়ে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময়মতো অবশ্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।