নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০২ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
‘চারটি রাজনৈতিক দলের প্রধান লড়ছেন এক আসনে। ফলে এ আসনকে ঘিরে কৌতূহল দেশজুড়ে। এ চারজনের দুইজন বর্তমান সংসদের সদস্য। অপর দুইজনও সাবেক সংসদ সদস্য। আসন্ন নির্বাচনে সংসদে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় কে থাকবেন এগিয়ে তা নিয়ে চলছে নানা হিসাবনিকাশ। এ চার প্রার্থী হলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ)-এর প্রধান এসএম আবুল কালাম আজাদ এবং তৃণমূল বিএনপির সভাপতি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। এ চার ভিআইপি প্রার্থীর কারণে ঢাকা-১৭ আসন এখন গোটা দেশের দৃষ্টিতে। এ আসনে রয়েছেন আরও ৬ প্রার্থী।
ভিআইপি এ আসনের নির্বাচনী হালচাল কেমন? সরেজমিন আসনটি ঘুরে দেখা গেছে ভোটারদের ব্যাপক আগ্রহ হেভিওয়েট প্রার্থীদের লড়াই দেখার।
রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান, বনানী, বারিধারা এবং সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত এ আসন। দেশের কূটনীতিক পাড়াও এই নির্বাচনী আসনের মধ্যে। এ আসনের সীমানার মধ্যে রয়েছে ভাষানটেক, বালুঘাট ও মানিকদী, ধামালকোট, লালাসরাই, বাইগারটেক ও আলিবর্দীরটেক। রয়েছে রাজধানীর সব থেকে বড় বস্তি কড়াইলসহ তিনটি বস্তি। এ আসনে লড়ছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের প্রার্থী এসএম আহসান হাবিব (মই), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল প্রার্থী আলি হায়দার (বাঘ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমিনুল হক তালুকদার (হাতপাখা), বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী লে. কর্নেল ডা. (অব.) একেএম সাইফুর রশিদ (কুলা), জাকের পার্টির প্রার্থী কাজী মো. রাশিদুল হাসান (গোলাপফুল) লড়ছেন ভোটের মাঠে।
ভোটাররা বলছেন, গত ১০ বছর এলাকাবাসী এমপিদের দেখা পাননি। তাই এবার যাকে দুঃখে-সুখে কাছে পাওয়া যাবে এমন প্রার্থীই বাছাই করবেন তারা। ভাষানটেক টেম্পোস্ট্যান্ডে ওষুধের দোকানি আবদুল জলিল বলেন, এ এলাকায় নতুন করে উন্নয়ন হচ্ছে। নতুন নতুন হাউজিং হচ্ছে। কিন্তু এলাকার পাতি মাস্তানদের চাঁদাবাজিতে মানুষ অতিষ্ট। এদের যন্ত্রণায় অনেকেই বাড়ির কাজ পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, বাড়ি করতে চাইলে জমির পরিমাণ ও কয়তলা হবে সে হিসেবে চাঁদা দাবি করে মাস্তানরা। শুধু তাই নয়, আরেক পক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে অনেকেই জমির ওপর দিয়ে অবৈধভাবে রাস্তাও করে দিয়েছে। এসব বিষয়ে বর্তমান সংসদ সদস্যের কাছে অতিষ্ট এলাকাবাসী গিয়েও কোনো সমাধান পায়নি। কখনো উল্টোটা হয়েছে। বিচার দেয়ার পর সন্ত্রাসীরা নতুন করে চাঁদা চেয়েছে। ভাষানটেকে জমি কিনে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট হয়ে একজন আইনজীবী বাড়ির কাজ বন্ধ রেখেছেন। ভুক্তভোগী ফারুক হোসাইন অভিযোগ করে বলেন, দুইবছর আগে বাড়ির প্ল্যান পেয়েছি। কাজ শুরু করতে গিয়ে তিনটি গ্রুপ আমাদের কাছে চাঁদা চায়। স্থানীয় কমিশনার, এমপি এবং স্থানীয় ক্লাবের পরিচয় দিয়ে এ চাঁদা চাওয়া হয়। কাউকে চাঁদা না দেয়ায় আমার জমির ওপর দিয়ে অন্য একটি গ্রুপকে রাস্তা করে দেবে বলে ৩০ লাখ টাকা নেয়। এতে বাধা দিলে তার অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এলাকা থেকে চলে যাওয়ার হুমকি দেন। বাধ্য হয়ে আমি কোর্টে মামলা করে বাড়ির কাজ বন্ধ রেখেছি। বিষয়টি নিয়ে বর্তমান এমপি আবুল কালাম আজাদের কাছে গিয়ে কোনো প্রতিকার পাইনি। সবাইকে ম্যানেজ করে চলার পরামর্শ দেন তিনি। তার দাবি, অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে এলাকায় এমপিগিরি করবে এ রকম কাউকে ভোট দেবে না এলাকাবাসী।
বিভিন্ন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জমি দখল, চাঁদাবাজি, মাদক, ভাঙা রাস্তাঘাট এলাকার অন্যতম সমস্যা। এসব সমস্যা সমাধানে যারা প্রতিশ্রুতি দিতে পারবে তাকেই ভোট দেবেন তারা। তবে, বর্তমান প্রার্থীদের নিয়ে অনেকেই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তরুণ ভোটার তানবির বলেন, এ আসনে সব সময় হেভিওয়েট প্রার্থী দেয়া হয়। গত বছর বিএনএফ নামে একটি দলের যে এমপি ছিল তিনি কোনোদিন এলাকার কোনো সমস্যার সমাধান করে দেয়নি। এবার আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী দেখে তারা খুশি। তিনজনই প্রভাবশালী প্রার্থী। এলাকাবাসী তাদের কাছে পাবে এমন প্রত্যাশা করেছেন তারা।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রথমে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে খালেদা জিয়া আসনটি ছেড়ে দিলে উপ-নির্বাচনে মেজর (অব.) কামরুল ইসলাম এমপি হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ আসনের এমপি নির্বাচিত হন জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। আর সর্বশেষ ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে বিএনএফের আবুল কালাম আজাদ নির্বাচিত হন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য’ বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্ষমতা বিএনপি
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।