নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
১৬ ডিসেম্বরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচী নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ড. কামাল হোসেনের বাসভবনে আলোচনা হয়। সেই আলোচনায় বিজয় দিবসে উপলক্ষে ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী একটি প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবে বলা হয়, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সব নেতারা ওইদিন ৩২ নম্বরের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পরে জিয়াউর রহমানের মাজারে গিয়েও কবর জিয়ারত করা হবে।‘
এটা যদি হয়। তাহলে সেটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন যে, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের যে বিজয়। সেখানে এই দুজনারই অবদান রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অবদান অনস্বীকার্য এবং জিয়াউর রহমানও একজন বীর উত্তম।’ কিন্তু এমন প্রস্তাব কামাল হোসেন নাকচ করে দেন। তিনি বলেন যে, ‘আমি জিয়াউর রহমানের মাজারে যেতে পারি না। এটার প্রতি আমার ভিন্নমত আছে।’
কামাল বলেন, বিএনপির সঙ্গে যে ঐক্য করা হয়েছে সেটা শুধু নির্বাচনের ঐক্য, সেটা কোন আদর্শিক ঐক্য নয়। জিয়াউর রহমানকে মেনে নিয়ে বা তাকে স্বাধীনতার ঘোষক মনে করে এই ধরনের ঐক্য করা হয়নি। এটা করা হয়েছে শুধুমাত্র দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য। এ ধরনের রাজনৈতিক স্টান্টবাজি করলে জনগণ বিভ্রান্ত হবে।’
কামাল হোসেনের এমন বক্তব্যের ফলে এই প্রস্তাবটি নাকোচ হয়ে যায়।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।