নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
নির্বাচনের আগেই তারেকের জালে জড়িয়ে পড়েছেন বাংলাদেশের অনেক শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধি। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, এসমস্ত সুশীল এবং বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে তারেক জিয়া একটি নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে সমর্থ হয়েছেন এবং তারা তারেককে বিভিন্ন পরামর্শই শুধু দিচ্ছেন না বরং সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণার জন্য এ সমস্ত বুদ্ধিজীবী ও সুশীলদেরকে ব্যবহার করছে। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, তারেক জিয়ার পরিকল্পনা ও পরামর্শ অনুযায়ী এ সমস্ত বুদ্ধিজীবীরা কাজ করছেন। এ সমস্ত সুশীল-বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন জনপ্রিয় দুটি পত্রিকার সম্পাদক এবং এই পত্রিকা দুটি পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণার কাজে ব্যস্ত রয়েছে। এ দুটি পত্রিকায় এমনভাবে আওয়ামী লীগ এবং সরকারবিরোধী সমালোচনা করা হচ্ছে যেন সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগের ব্যাপারে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এবং ভোটে যেন তার প্রভাব পড়ে।
এছাড়াও সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সঙ্গেও তারেকের যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে সিপিডি ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম নিয়ে একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সেটি তারেকের পরিকল্পনা ও পৃষ্ঠপোষকতায় করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, ব্যাংকিং খাত ছাড়াও আরও তিনটি খাত নিয়ে নির্বাচনের আগেই সিপিডি কিছু গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। যা সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো আরও বলছে যে, এ সমস্ত গবেষণা প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে সামগ্রিক সহযোগিতা আসছে লন্ডন থেকে। শুধু সিপিডি নয়, এর বাইরেও বাংলাদেশের নির্বাচনে সুশসানের জন্য নাগরিক (সুজন) শীর্ষক নির্বাচনের অধিকার ও পর্যবেক্ষণের যে সংস্থাটি রয়েছে সেটির সঙ্গেও তারেক জিয়ার যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের যে প্রচারণা এবং ভোটাধিকার সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা করছে সেগুলোতে সরাসরি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বক্তব্য উপস্থাপন করছে। সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার সর্বত্রই বলছেন যে নির্বাচনে জন্য উপযুক্ত পরিবেশ এখনও তৈরি হয় নি এবং তিনি বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে বিএনপির উপর নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসন কী কী অনিয়ম করছে প্রতিদিন তার ফিরিস্তি তুলে ধরছেন।
এছাড়াও বেসরকারী সংস্থা অধিকারের সঙ্গে তারেক জিয়ার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। অধিকারের প্রধান নির্বাহী আদিলুর রহমান খান শুভ্র বিএনপির কনিষ্ঠ একজন আইনজীবী এবং তার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গত এক দশকে বাংলাদেশের কথিত মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন আইনের শাসন পরিপন্থী কার্যক্রমের বিবরণ তুলে ধরা হচ্ছে। এবং অধিকারের অন্যতম কাজ হচ্ছে এই সমস্ত রিপোর্টগুলো বিভিন্ন দূতাবাস এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে প্রেরণ করা যেন ঐ রাষ্ট্রগুলো সরকারের ব্যাপারে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে।
শুধু এই দেশের সংগঠন নয়, দেশের বাইরের বেশ কিছু সংগঠনও তারেকের নেটওয়ার্কের আওতায় পড়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এই সমস্ত সংগঠনগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এবং সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রচারণায় লিপ্ত রয়েছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচনের আগে সরকারের কথিত বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি এবং সুশাসনের অভাবের বিষয়গুলো জনগণ ও আন্তর্জাতিক মুলুকে তুলে ধরার জন্য তারেকের এই নেটওয়ার্ক কাজ করছে। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে তারেক এদের প্রত্যেকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছেন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।