নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২৬ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
পরিকল্পনা ছিল নির্বাচনী মাঠে বিএনপির হয়ে প্রচার-প্রচারণায় নামবেন খালেদার পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান সিঁথি। এতে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানেরও সম্মতি ছিল কিন্তু বিধি বাম। সারাদেশে বিএনপি প্রার্থীরা যেভাবে হামলার শিকার হচ্ছেন সে আশঙ্কা থেকে সিঁথিকে প্রচারণায় নামা থেকে বিরত রাখা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে বিএনপির হাইকমান্ডের সঙ্গে এনিয়ে কথা বলেছেন তারেক রহমান। শুরু থেকেই নির্বাচনী প্রচারণায় গতি আনতে প্রথমে তারেকের সহধর্মীনি ডা. জোবায়দা রহমানকে চিন্তা করা হয় কিন্তু পাসপোর্ট জটিলতায় জোবায়দা দেশে আসতে না পারার কারণে চূড়ান্তভাবে প্রচারণায় অংশ নিতে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর সহধমীনি শর্মিলা রহমান সিঁথিকে বেছে নেয় বিএনপি। বিশেষ করে খালেদা এবং তারেকের অনুপস্থিতিকে চমক হিসেবে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে সিঁথিই ছিল বিএনপির প্রধান অস্ত্র। গত কয়েকদিনে সারাদেশে বিএনপির প্রার্থীদের উপর হামলার প্রেক্ষিতে আপাতত সিথিঁর প্রচারণায় অংশ নেয়া বন্ধ রাখা হলো বলে জানিয়েছে বিএনপির একটি সূত্র।
সূত্রটি জানায়, জিয়া পরিবারের কেউ নির্বাচনে মাঠে হয়রানি কিংবা হামলার শিকার হোক এটা চান না লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান। লন্ডন থেকে তারেক রহমানের বিশ্বস্ত একজন জানান, নির্বাচনী মাঠে ড. কামাল হোসেনই সক্রিয় থাকবেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে দেখানোর জন্য কামাল হোসেন বিএনপির প্রধান অস্ত্র। তার মতে, ড. কামাল হোসেনের উপর যত আঘাত আসবে ক্ষমতাসীন দল ততই বিপদে পড়বে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।