নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০১ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণায় সহিংসতার ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব হামলা ভাঙচুর বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এই নির্দেশ দেন। তিনি ভোটের উৎসব মুখর পরিবেশ যেন নষ্ট না হয় তা নিশ্চিত করতে বলেছেন। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহ সিনিয়র নেতাদের বলেছেন, নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগ যেন কাউকে বাধা প্রদান না করে। সকল নির্বাচনী এলাকায় নেতা কর্মীদের এই বার্তা পৌছে দেয়ার নির্দেশ দেন দলের সভাপতি। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে তিনি চান দেশে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট উৎসব হোক। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে এবং নিশ্চিন্তে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারণায় প্রথম দিন থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অভিযোগ করেছে যে, তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। যদিও আওয়ামী লীগ বলছে, এগুলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপির নাটক। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনায় যারাই দায়ী তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ/এমআর
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।