নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৬ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবর্গ সম্মিলিতভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছিল। তবে আজ বিজয় দিবসে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় নি। বিএনপির পক্ষ থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। অপরদিকে ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে ড. কামাল হোসেন স্মৃতিসৌধে গেলেও তার সঙ্গে ছিলেন না ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয়কারী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান। সেখানে তিনি পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে গণমাধ্যমে সঙ্গে কথাও বলেন। অপরদিকে ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে কামাল হোসেন স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ড. কামালের সঙ্গে ছিলেন মোস্তফা মহসীন মন্টু ও নজরুল ইসলাম খান। মির্জা ফখরুল বরাবরই নিজেকে ড. কামাল ভক্ত হিসেবে প্রমাণ করে এলেও আজ তিনি কামালের সঙ্গে ছিলেন না।
গত শুক্রবার ঐক্যফ্রন্টের নেতারা একত্রিতভাবে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে যান বুদ্ধিজীবীদের প্রতি সম্মান দেখাতে। সেখানে একজন সাংবাদিকের সঙ্গে বাজে আচরণ করেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। ড. কামালকে জামাত ইস্যুতে প্রশ্ন করলে তিনি ক্ষেপে যান এবং ঐ সাংবাদিককে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন।
ড. কামালের এহেন কাণ্ডে রীতিমতো বিতর্কের মুখে পড়েছেন ড. কামাল ও তার ঐক্যফ্রন্ট। তাই যে কোন ধরনের সমালোচনা থেকে বিএনপিকে দূরে রাখতেই আজ মির্জা ফখরুল ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে ড. কামালের সঙ্গে না গিয়ে বিএনপির ব্যানারে আলাদাভাবে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন বলে বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।