নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
অবশেষে এরশাদ দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে তিনি দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে। আজ রোববার সিঙ্গাপুরে ভারতীয় দু’জন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে দীর্ঘ দুই ঘন্টার বৈঠকের পর এরশাদ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত এরশাদ তার একজন প্রতিনিধির মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ডা. মোস্তাফিজুর রহমানকে জানিয়েছেন। সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন ‘আগামীকাল সোমবার সিঙ্গাপুর সময় সকাল ৮টায় ন্যাশনাল হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে দেখবেন। তারা দেশে যাওয়ার ছাড়পত্র দিলেই তিনি দেশে ফিরেবেন।’
দূতাবাসের ঐ কর্মকর্তা বলেন, ‘এরশাদ সাহেব যেহেতু মন্ত্রীর মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি, তাই দূতাবাস সার্বক্ষনিক ভাবে তার দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, ১১ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুর আসার পর তার একটি রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে। এসময় এরশাদ সিঙ্গাপুরে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন। একটি সূত্র জানিয়েছে, এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করতে দিল্লী থেকে দুজন কর্মকর্তা সিঙ্গাপুরে উড়ে আসেন। তারা এরশাদকে আশ্বস্ত করেন যে, তিনি যেন মহাজোটেই থাকেন। এক্ষেত্রে, তার কোন সমস্যা হবে না। সূত্র মতে, মহাজোটে থাকার শর্ত হিসেবে এরশাদ তার বিরুদ্ধে ঝুলে থাকা মঞ্জুর হত্যা মামলার চুড়ান্ত নিষ্পত্তি চান। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ ব্যাপারে তাকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। নির্বাচনের পরপরই তার বিরুদ্ধে থাকা যাবতীয় মামলা গুলোর সুরাহা করা হবে। এর বিনিময়ে এরশাদ ২৩ ডিসেম্বরের আগেই ঢাকা ফিরবেন এবং মহাজোটের পক্ষে নির্বাচনী প্রচরণায় অংশ নেবেন।
এছাড়াও, এরশাদ উন্মুক্ত আসনে দাঁড়ানো তার ১৩২ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০০ জনকেই প্রত্যাহার করে নেবেন বলে জানা গেছে। অবশ্য এর বিনিময় তিনি নতুন সরকারের মন্ত্রীসভায় তার পছন্দের ৪ জন মন্ত্রী নিয়োগের দাবী করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এরশাদের সব দাবীই নির্বাচনের পর বিবেচনার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, আজ সকালে মেরিনা বে হোটেলে এরশাদের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। বৈঠকের পর এরশাদ হাস্যোজ্জল ছিলেন। সেখান থেকেই তিনি জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাকে ফোন করেন। এরশাদ জাতীয় পার্টির নির্বাচনী প্রচারণা জোরদার করার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে মহাজোটের মনোনয়ন চূড়ান্ত করার পর্যায়ে হঠাৎ বেঁকে বসেছিলেন এরশাদ। মহাজোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হন। এখান থেকে বেরিয়ে ১০ ডিসেম্বর তিনি সিঙ্গাপুরে উড়াল দেন। মহাজোটে ২৯টি আসন পেয়ে অসন্তুষ্ট এরশাদ ১৩২টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে তার দলের প্রার্থী দিয়েছিলেন। এরশাদ সিঙ্গাপুরে গেলে তার পিছনে যায় বাংলাদেশের কয়েকজন সরকারী প্রতিনিধি। দীর্ঘ দরকষাকষির পর শেষ পর্যন্ত এরশাদ বশীভূত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।