নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
‘দেশের মালিকানা জনগণকে ফিরিয়ে দেয়া হবে’ ড. কামাল হোসেনের এমন মন্তব্যে বিরূপ মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। তাদের মতে, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম দেশ। অধিকাংশের অভিমত, দেশের মালিকানা তো বিকিয়ে দেয়া হয়নি যা তা ফেরত আনা হবে।
গত কয়েকদিন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন এমন মন্তব্য করছেন যা সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সৌরভ দাস। তার মতে, একজন সংবিধান প্রণেতা হয়ে এমন বাচুলতা কথা কিভাবে বলেন ড. কামাল হোসেন। একটি স্বাধীন দেশ,যার স্বাধীন মানচিত্র রয়েছে। যার মালিক জনগণ। কিন্তু ড. কামাল হোসেনের ভাষায় মনে হচ্ছে দেশ বিকিয়ে দেয়া হয়েছে উনি তা ফেরত আনার ঠিকাদারী নিয়েছেন। সৌরভ দাস ড. কামাল হোসেনের এমন মন্তব্য প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান।
গণমাধ্যম কর্মী শংকর মৈত্র ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যকে পাকিস্তানী ভাষায় কথা বলার সঙ্গে তুলনা করেছেন। ড. তপন বাগচী বলেন, ড. কামাল হোসেনের মত একজন মানুষের কাছ থেকে স্বাধীন দেশের মানুষ হিসেবে এমন বক্তব্য আশা করিনি। তিনি তার বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন এমনটাই আশা ড. বাগচীর।
চারুশিল্পী অংকন প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, দেশের মালিকানা তো জনগণের হাতেই আছে উনি কোথায় পেলেন মালিকানা অন্যের হাতে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।