নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫১ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দী। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই প্রথম নির্বাচনী প্রচারণার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় আজ বুধবার কুমিল্লা গেছেন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গুলশানের বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে আজ সকাল ১০টায় ফখরুলের গাড়িবহর কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এ সময় মির্জা ফখরুলকে খালেদা জিয়ার গাড়িটি ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়া গাড়িবহরটি ঢাকা থেকে কাঁচপুর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দিকে যায়। কুমিল্লা যাওয়ার সময় পর্যায়ক্রমে কয়েকটি স্থানে সভা করছে ঐক্যফ্রন্ট। ঐক্যফ্রন্টের নেতারা কুমিল্লায় জনসভা ও প্রচারণা শেষে সন্ধ্যায় ঢাকা ফিরবেন।
তবে এই ব্যাপারটি বিএনপির অনেকেই ভালো চোখে দেখেননি। তারা বলছেন, ‘কেন খালেদা জিয়ার গাড়ি ব্যবহার করতে হবে ফখরুলের! খালেদা জিয়ার গাড়ি শুধু পরিবারের লোকজনই ব্যবহার করতে পারেন।’
এটাকে অনেকে অনাধিকার চর্চাও বলছেন। তাদের মতে, এই গাড়ি দেখিয়ে সহানুভূতি খোঁজার কোন কারণ নেই। নির্বাচনের আগে মির্জা ফখরুল এমন অনেক কথাই বলছেন যেন ভোটারদের কাছ থেকে সহানুভূতি পান। কিন্তু বাস্তবিক সেটা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে/এমআর
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।