নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৮ পিএম, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮
নৌকার দুর্গখ্যাত সিরাজগঞ্জ-১ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দেয়া হয়েছে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপাকে। তবে এখন পর্যন্ত নির্বাচনে মাঠে তাঁর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপির নীতি নির্ধারকরা জনপ্রিয় শিল্পী কনকচাঁপার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ারের সৃষ্টি করতে এই আসনে তাকে মনোনয়ন দিয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত ভোটাররা চোখেই দেখেননি তাকে। এমনকি এলাকায় তার নির্বাচনী পোস্টার, ব্যানার কিংবা ফেস্টুনও দেখা যায়নি।
জানা যায় গত কয়েকদিন আগে কনকচাঁপা সিরাজগঞ্জ শহরের হোসেনপুরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বাসায় অবস্থান করলেও নির্বাচনী এলাকায় যাননি এবং কোন ধরণের প্রচারণায়ও অংশগ্রহণ করেননি। স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রচারণায় নামার জন্য মুখিয়ে থাকলেও গত ১১ দিনে প্রার্থীর দেখা না পেয়ে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
গত ১৭ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে কনকচাঁপা জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বগুড়া পর্যটন মোটেলে সংবাদ সম্মেলনও করেন। কাজীপুরে কনকচাঁপার কোন বাড়ি না থাকায় কর্মী সমর্থকরাও তাকে খুঁজে পাচ্ছেন না। কাজীপুর উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা লাকী খাতুন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এক মাসের মতো হয়ে গেল কনকচাঁপা এলাকায় আসেননি, ভোটও চাননি কারও কাছে। আমাকে লোকজন কনকচাঁপা কোথায় জানতে চাইলে তার কোনো দিতে পারি না।’
কাজীপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান বাবলুও হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের মতো আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে প্রার্থী যদি না বলে তাহলে আমরা কর্মীরা কিভাবে প্রচারণায় নামবে? কাজীপুরে তার কোনো বাড়ি পর্যন্ত নাই, যেখানে গিয়ে নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে দেখা করবে।’
এ বিষয়ে রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর থেকে আমি কাজীপুরের পূর্ব-পশ্চিম ও উত্তর-দক্ষিণ দিয়ে ঘুরছি। আওয়ামী লীগের হুমকি-ধামকির ভয়ে আমি কাজীপুরে ঢুকতে পারছি না। বিষয়গুলো আমি জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকাকে লিখিতভাবে অবগত করলেও কোনো ব্যবস্থা নেননি তিনি। রিটার্নিং কর্মকর্তার ওপর আস্থা না পেয়ে আমি জীবননাশের ভয়ে পার্শ্ববর্তী জেলায় অবস্থান করে সংবাদ সম্মেলন করেছি।’
দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে কি না এমন প্রশ্নে বিএনপি প্রার্থী কনকচাঁপা বলেন, ‘আমি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। অনেককেই মোবাইলে কল দিয়েছি। দুই একজনকে মোবাইল ফোনে পাইনি। তাদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করছি।’
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/এমআর
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।