নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে কাজ করছে একাধিক ভারতীয় নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর ১ ডিসেম্বরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ভারতের অন্তত ৫টি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংঠন আগামী ৩০ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশের নির্বাচনে বিএনপিকে সমর্থন করছে। বিএনপির জন্য এরা অর্থ সহায়তা, অস্ত্র সরবরাহ সহ নানারকম তৎপরতায় জড়িত। ‘র’ বলেছে, ‘এই সংগঠনগুলো মনে করছে বিএনপি জয়ী হলে তাদের সুবিধা হবে।’
ভারতে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন দল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স, বাংলাদেশের নির্বাচনে বিএনপিকে জয়ী করতে সর্বাত্মক চেষ্টার আহ্বান জানিয়েছে। ১৯৯০ সালের ১১ জুলাই এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা হয়। সংগঠনের নেতা রনজিত দেব বর্মন সংগঠনের কর্মীদের কাছে পাঠানো বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এটিটিএফ’ এর লক্ষ্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যা চাই তা অর্জনের জন্য বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয় দরকার।’ এটিটিএফ (অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স) ত্রিপুরা থেকে ১৯৫৬ সালের পর আসা সব বাঙালিকে বহিস্কার করতে চায়।
মাওবাদী বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং সন্ত্রাসী সংগঠন অখিল ভারত নেপাল একতা সমাজও বাংলাদেশের নির্বাচনে বিএনপির বিজয় চায়। সংগঠনের নেতা রাম প্রসাদ শর্মা এক বিবৃতিতে বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার আরেকবার ক্ষমতায় এলে তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনটিকে ৩০ মার্চ ২০১৫ সালে ভারত সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ২০০১ সালে বিএনপি জামাত জোট ক্ষমতায় এলে অখিল ভারত নেপাল একতা সমাজের ৪টি কেন্দ্র বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত হতো। ২০০৯ সালে অর্থমন্ত্রীর নির্দেশে এইসব কেন্দ্র উচ্ছেদ করা হয়।
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট বরল্যান্ডের মহাসচিব সাওরা ইগাওরাও বাংলাদেশের নির্বাচনে বিএনপিকে সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছে। এই সংগঠনের কার্যক্রম বর্তমানে মিয়ানমার থেকে পরিচালিত হয়। এক সময় (বিএনপি-জামাত ঐক্যজোট সরকারের আমলে) পার্বত্য চট্টগ্রামে এদের একাধিক ঘাঁটি ছিল। আওয়ামী লীগ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে, এসব ক্যাম্প উচ্ছেদ করে।
‘র’ এর প্রতিবেদনে আরো যে সব বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন বিএনপিকে সমর্থন জানিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো হলো; গারো ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি, ইন্ডিয়ান মুজাহিদীন এবং আল-কায়েদা ইন্ডিয়ান।
২০০৯ এর আগে বাংলাদেশে ভারতের বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের কমবেশী দেড় হাজার ঘাঁটি ছিলো বলে ভারতীয় প্রতিরক্ষা দপ্তরের প্রতিবেদনে জানা যায়। বর্তমানে বাংলাদেশে কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদীর ঘাঁটি নেই। এ কারণেই ভারতের প্রায় সব বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আওয়ামী লীগের বিপক্ষে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।