নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮
বাংলাদেশের জন্য আগামী সাতদিন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। নির্বাচন নিয়ে নানা রকম ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচন বানচালের জন্য ভয়ংকর কিছু ঘটানোর সম্ভাবনা এখনও রয়েছে। নির্বাচনের আগে দেশের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা এরকম পূর্বাভাস দিয়েছে। আর এমনটা যেন না ঘটে সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্ল্যেখ করেছেন দেশের প্রধান দুটি গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘দেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নস্যাতের চেষ্টা চলছে। নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততোই সহিংসতা এবং নাশকতার শঙ্কা বাড়ছে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা কঠিন এক চ্যালেঞ্জ।’ তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আশা করছে যে, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার রয়েছে। নির্বাচনের আগে ভয়ংকর যে সব ঘটনা ঘটানোত চেষ্টা চলছে তার মধ্যে রয়েছে:
১. নির্বাচনের আগে বেশ কিছু ভিআইপি এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে হিটলিস্টে রাখা হয়েছে। যাদের উপর আক্রমণ করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে এরকম বেশ কিছু ব্যক্তির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
২. গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা যেমন সরকারী ভবন, থানা ইত্যাদি টার্গেট করা হয়েছে। নির্বাচন বানচালের জন্য এই সব ভবন আক্রমণের পরিকল্পনার বেশ কিছু তথ্য এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে।
৩. একযোগে ঝাটিকা আন্দোলনের একটি পরিকল্পনার তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। নির্বাচনের আগে দুই তিনদিনের একটি সর্বাত্মক এবং ঝটিকা আন্দোলনের চেষ্টা চলছে। যে আন্দোলন হবে সহিংস এবং নাশকতা মূলক।
৪. হোলি আর্টিজনের মতো ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এ ধরনের হামলায় বিদেশীদের টার্গেট করা হয়েছে। যেন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যে নির্বাচন করাই অসম্ভব হয়ে পড়ে।
৫. ভোটের দিন অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনার তথ্যও হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। ভোটকেন্দ্র আক্রমণ, ব্যালট পেপার পুড়িযে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আক্রমণকারীদের ‘নৌকা’ প্রতীকের ব্যাজ পরিয়ে, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ানো হবে। যেন মনে হয় শাসক দলই এই সব করেছে। এছাড়াও আরও অনেক পরিকল্পনা তথ্যই গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। এসব পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হলো নির্বাচন বানচাল করে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। ন্যূনতম নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যেন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হয়।
তবে, একাধিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যেহেতু পরিকল্পনার কথা আমরা জেনেছি, তাই এটা বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না। গোয়েন্দা সূত্রে বলা হয়েছে, এই সব পরিকল্পনাই করা হচ্ছে লন্ডন থেকে। আর এসব করছে তারেক জিয়া।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।