নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ এএম, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮
পদ্মাপাড়ের দুই জেলা মাদারীপুর ও শরীয়তপুর। এই দুই জেলায় ৩টি করে নির্বাচনী আসন রয়েছে। প্রতিবেশী জেলা দুটির অধিকাংশ এলাকাই আওয়ামী অধ্যুষিত। এ কারণে মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের ৬ আসনই আওয়ামী লীগের পকেটে যাবে বলে প্রেডিক্ট করছে বাংলা ইনসাইডার।
মাদারীপুর-১
মাদারীপুর-১ আসনে নৌকার নূর-ই-আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে লড়ছেন বিএনপির সাজ্জাদ হোসেন। দেশের যে কয়েকটি আসনে আওয়ামী লীগের একক আধিপত্য আছে মাদারীপুর-১ তার মধ্যে অন্যতম। এই আসনে ১৯৮৬ সাল থেকে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তার কোনোটিতেই হারেনি আওয়ামী লীগ। এবারো এখানে নৌকার জয় নিশ্চিত বলেই প্রেডিক্ট করছি। কারণ এই আসনের মহীরুহ আওয়ামী লীগকে উপড়ে ফেলার মতো যথেষ্ট শক্তিশালী নয় বিএনপি।
মাদারীপুর-২
এই আসনটি আওয়ামী লীগের শাহজাহান খানের এলাকা। এখানে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মিল্টন বৈদ্য। কয়েকটি ইস্যুতে দেশজুড়ে শাহজাহান খান ব্যাপক সমালোচিত হলেও নিজ এলাকায় তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী। এ কারণে এখানে নৌকার জয় দেখছি আমরা।
মাদারীপুর-৩
মাদারীপুর-৩ এ আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সোবহান। তার বিরুদ্ধে লড়ছেন বিএনপির আনিসুর রহমান তালুকদার। এখানেও আওয়ামী লীগ অত্যন্ত জনপ্রিয়। ১৯৯১ সাল থেকে এই এলাকার ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। এবারো এর ব্যত্যয় ঘটার কোনো কারণ নেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
শরীয়তপুর-১
শরীয়তপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে লড়ছেন বিএনপির একেএম নাসির উদ্দিন। এই এলাকাতেও বিএনপির তুলনায় আওয়ামী লীগ শক্তিশালী দল। প্রভাব, জনপ্রিয়তা সব দিক থেকেই এখানে গিয়ে নৌকা। এ কারণে এই আসনেও আওয়ামী লীগের জয় দেখছি আমরা।
শরীয়তপুর-২
এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী একেএম এনামুল হক। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির শফিকুর রহমান। এনামুল হক ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। এলাকায় তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। প্রচার প্রচারণাতেও তিনি এগিয়ে। অন্যদিকে বিএনপি এখানে অনেকটা নীরব। এসব কারণে আমাদের প্রেডিকশন এখানে নৌকা জিতবে।
শরীয়তপুর-৩
শরীয়তপুর-৩ আসনটি প্রয়াত রাজনীতিক আবদুর রাজ্জাকের এলাকা। এখানে নৌকার প্রার্থী তার সন্তান নাহিম রাজ্জাক। নাহিমের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নুরুদ্দিন আহমেদ। নাহিম রাজ্জাক গত দুই মেয়াদে এই আসনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এলাকায় রাজ্জাক পরিবার অত্যন্ত জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী। বিপরীতে বিএনপি অনেকটাই দুর্বল। এ কারণে এখানে নৌকা জিতবে বলে প্রেডিক্ট করছি আমরা।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।