নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ আগামী সোমবার দেশে ফিরছেন। দেশে ফেরার পর জাতীয় পার্টির নির্বাচনের মাঠে কি ভূমিকা হবে তা নিয়ে নতুন বার্তা দিতে পারেন।
জাতীয় পার্টির একাধিক সূত্র জানায়, ভোটের মাঠে জাতীয় পার্টি কোনঠাসা অবস্থায় থাকার কারণে আগামী নির্বাচনে বড় ধরণের বিপর্যয়ের আশংকায় এরশাদ ভোটের মাঠ থেকে জাপা প্রার্থীদের তুলে নিতে পারেন। সিঙ্গাপুর থেকেই এমন বার্তা দিয়েছেন পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাকে। তবে মহাসচিব এরশাদের এমন সিদ্ধান্ত ভেবে-চিন্তে নেবার ব্যাপারে মত দেন।
এদিকে, জাতীয় পার্টির লক্ষীপুরের একটি আসন থেকে মহাজোট প্রার্থী মোহাম্মদ নোমান সরে দাঁড়ানোর ঘোষণায় ব্যাপক বিক্ষুব্ধ হয়েছেন এরশাদ। জাপা নেতৃত্বের উপর দায় চাপিয়ে তার সরে দাঁড়াবার ঘোষণায় পার্টির নয়া মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাকে ভর্ৎসনা করেন এইচএম এরশাদ। ঢাকা-১৭ আসন থেকে এরশাদের সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে সিঙ্গাপুর থেকেই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ। মৃত্যু হলেও তিনি ঢাকা-১৭ আসন থেকে সরে দাঁড়াবেন না। ঐ আসনে জোরালো প্রচারণা চালানোর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ফয়সাল চিশতীকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন এরশাদ। তবে চিশতী তার অসহায়ত্বের কথাও জানিয়েছেন এরশাদকে। জাপার কোন নেতা-কর্মী এখনো গুলশান-বনানী এবং ক্যান্টমেন্ট এলাকায় এরশাদের হয়ে কোন প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন না। এমনকি পার্টির মহাসচিব কিংবা বিশেষ সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারও নিশ্চুপ রয়েছেন ঢাকা-১৭ আসনের ব্যাপারে।
জাতীয় পার্টির একাধিক সূত্র জানায়, জাতীয় পার্টির দেড় শতাধিক আসনে উন্মুক্ত প্রার্থী থাকায় বেকায়দায় পড়েছে মহাজোট প্রার্থীরা। একাধিক আসনে জাতীয় পার্টির ভোট ব্যাংক থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এসব বিষয় নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চরম বিক্ষুব্ধ এরশাদের উপর। এরশাদ দেশে ফেরার পর যদি উন্মুক্ত প্রার্থীরা তাদের অবস্থার পরিবর্তন না করেন তাহলে জাপার সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অন্য রকম বোঝাপড়া হতে পারে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
জাপার নেতৃত্বে হ-য-ব-র-ল অবস্থার কারণে এবারের নির্বাচনে জাপার প্রার্থীরা চরম অসহায় অবস্থার মধ্যে নির্বাচনী মাঠে টিকে আছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।