নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮
নির্বাচন বানচালে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার দ্বারস্থ হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির নিযুক্ত কয়েকটি লবিস্ট প্রতিষ্ঠান এজন্য কাজ করছে বলে জানা গেছে। এই লবিস্ট গ্রুপ ইতিমধ্যে ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ নামের একটি বিতর্কিত সংগঠনকে দিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে বিবৃতি দিয়ে বিতর্কিত হয়েছিল। যুদ্ধাপরাধী পরিবারের কাছ থেকে বিপুল অর্থ পেয়ে সে সময় ঐ বিবৃতি দেয়া হয়েছিল বলে জানা যায়। এখনও বিএনপি-জামাতের লবিংয়ে ২১ ডিসেম্বর সংগঠনটি একটি বিবৃতি দেয়। ঐ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে দমনমূলক’ পরিবেশ বিরাজ করছে। কিন্তু হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো বিতর্কিত সংগঠনের বিবৃতির উপর ভর করে নির্বাচন বন্ধ করা সম্ভব নয়। এজন্যই জাতিসংঘ, মার্কিন কংগ্রেস, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো সংগঠনগুলো থেকে বিবৃতি নেওয়ার চেষ্টা চলছে। এ ধরনের বিবৃতি না পেলে, ভুয়া বিবৃতি বানিয়ে তা প্রচারের পরিকল্পনার কথাও শোনা যাচ্ছে।
২০০৬ সালে জাতিসংঘের বরাত দিয়ে একটি ভুয়া বিবৃতি প্রচার করেছিল দেশের শীর্ষস্থানীয় দু’টি দৈনিক। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ২২ জানুয়ারি নির্বাচনে সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করলে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর শান্তি মিশনে যোগদান স্থগিত হয়ে যাবে। ঐ ভুয়া বিবৃতি ওয়ান ইলেভেন আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। সাম্প্রতিক সময়েও ঐ দু’টি দৈনিকই ব্রিটিশ পার্লামেন্টের (হাউজ অব কমন্স) বরাত দিয়ে একটি প্রস্তাবের সংবাদ পরিবেশন করেছিল। যা অসত্য বলে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট থেকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু প্রভাবশালী ঐ দুই পত্রিকা, দেশের সুশীল সমাজের একাংশ এবং বিএনপির একটি অংশ এখনও তৎপর। জানা গেছে, জাতিসংঘের যে কোন এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে নির্বাচন সম্পর্কে কিছু নেতিবাচক কথা বের করে আনার চেষ্টা চলছে। এর আগে বিএনপি মহাসচিবকে জাতিসংঘের মহাসচিব আমন্ত্রন জানিয়েছে বলেও অসত্য খবর প্রচার করা হয়েছিল।
শুধু জাতিসংঘ নয়, মার্কিন কয়েকজন কংগ্রেসম্যান এবং সিনেটরের কাছেও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা বা নির্বাচন বন্ধের আহ্বান জানানো সংক্রান্ত বিবৃতি গ্রহণের জন্য চেষ্টা চলছে। একই তৎপরতার খবর পাওয়া গেছে যুক্তরাজ্যে। বিএনপি’র একাধিক সূত্র বলছে এ রকম বিবৃতি আদায় করতে পারলে নির্বাচন বানচাল ‘সহজ’ হবে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা গেছে, এ রকম লর্বিং এর তৎপরতা সম্পর্কে তারা অবহিত। পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ও এ ব্যাপারে তৎপর বলে জানা গেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পূর্ণ বাংলাদেশের অভ্যান্তরীন ব্যাপার। এ ব্যাপারে কারো কোন মন্তব্য হবে কূটনৈতিক শিষ্টাচার বর্হিভূত।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শামা ওবায়েদ সারাহ কুক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।