ইনসাইড পলিটিক্স

বিক্ষুব্ধ এরশাদ থাকবেন না ভোটের মাঠে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জাপা চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ আগামীকাল সোমবার দেশে ফিরছেন। তবে দেশে ফিরলেও তিনি ভোটের মাঠে সরব হচ্ছেন না। সিঙ্গাপুরের ডাক্তারেরা জানিয়েছেন জাপা চেয়ারম্যানকে পূর্ণ বিশ্রামেই থাকতে হবে। তবে ক্ষমতাসীন সরকারের উপর অনেকটা বিক্ষুব্ধ হয়ে নীরব থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এরশাদ এমনটাই জানিয়েছেন এরশাদের ঘনিষ্ঠজনেরা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন বন্টন নিয়ে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিরোধ তৈরী হয়। জাতীয় পার্টির ধারণা ছিল মহাজোট থেকে তারা কাঙ্ক্ষিত আসন নিয়ে সারাদেশে লাঙলের প্রার্থী দেবেন। তাছাড়া এরশাদের নেতৃত্বাধীন একটি সম্মিলিত জোটও গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে অনেক দরকষাকষির মাধ্যমে জাপার ভাগ্যে জুটে মাত্র ২৬টি আসন। মহাজোটে মাত্র ২৬ আসন নিয়ে জাপাকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। জাপাকে সম্মানজনক আসন বরাদ্দ না দেয়ায় এরশাদ হঠাৎ করেই নিজেকে গুটিয়ে নেন। পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গাকে দায়িত্ব দেন মহাসচিবের। আর নয়া মহাসচিবকে দায়িত্ব দেয়া হয় সরকারের সঙ্গে দরকষাকষি করে আসন সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য।

নয়া মহাসচিব রাঙ্গা সারারাত দেন দরবার করেও কাঙ্ক্ষিত আসন আনতে পারেননি ঘরে। আর পরের প্রেক্ষাপট ভিন্ন সরকারের নীতি-নির্ধারকদের সাথে ভিন্নমত পোষণ করে দেড় শতাধিক আসনে মহাজোটের বাইরে জাতীয় পার্টি প্রার্থিতা ঘোষণা করে। শুরুতে সরকার বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিলেও যতই দিন যাচ্ছে জাপার এসব উন্মুক্ত প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের জন্য চরম মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একাধিক সূত্র জানায়, প্রায় ৫০টিরও অধিক আসনে জাপা প্রার্থীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জোরালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আর যতই দিন যাচ্ছে ঐসব আসনে জাপা-আওয়ামী লীগ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে। তবে এসব বিষয় নিয়ে জাপার কোনস্তরের নেতা-কর্মীদের কোন মাথাব্যথা নেই। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নেই কোন দিক নির্দেশনা। এরশাদবিহীন জাপার প্রার্থীরা অন্ধকারে হাবুডুবু খাচ্ছেন বলে অনেকেই খেদোক্তি প্রকাশ করেছেন।

এদিকে, সিঙ্গাপুর থেকে এরশাদ দেশে ফিরে আসলেও কোন আশার আলো দেখছেন না জাপার দেড় শতাধিক আসনের উন্মুক্ত প্রার্থীরা। শতাধিক আসনের প্রার্থীরা নিজেদের মত করে কাউকে না কাউকে সমর্থন দিয়ে নীরবেই মাঠ ছাড়ছেন। সিঙ্গাপুর থেকে এরশাদের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল ওয়াহাব মিয়া বাংলা ইনসাইডারকে জানান, স্যার পুরোপুরি সুস্থ নন, দেশে ফিরলেও তাঁকে বেশ কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হবে। ভোটের মাঠে উপস্থিত থাকা নিয়েও রয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা জানান, স্যার (এরশাদ) দেশে ফেরার পরই অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে তিনি জানান, কিছু করার জন্য হাতে যে সময় থাকা প্রয়োজন ছিল তা নেই।

বাংলা ইনসাইডার/এমআর



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ভারতে সব দলেরই অপছন্দ বিএনপি

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের নির্বাচন শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। প্রথম দফার নির্বাচন হয়েছে উত্তেজনাপূর্ণ। এই নির্বাচনে ভারতের ক্ষমতা পরিবর্তন হবে, নাকি টানা তৃতীয় বারের মতো নরেন্দ্র মোদি আবার ক্ষমতায় আসবেন তা বুঝা যাবে ৪ জুন। ঐ দিন ভোট গণনা শুরু হবে। তবে ভারতে বিজেপি বা ইন্ডিয়া জোট যারাই ক্ষমতায় আসুন না কেনো, দুই জোটই বিএনপিকে অপছন্দ করে এবং বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব রক্ষা করার নীতি নিয়ে চলে। দুটি জোটের কূটনৈতিক নীতি এবং ক্ষমতায় এলে পরিকল্পনার যে কৌশলপত্র তাতে বাংলাদেশের ব্যাপারে অভিন্ন মতামত লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

শুধু বাংলাদেশ নয়, কূটনৈতিক ক্ষেত্রে বিজেপি এবং ইন্ডিয়া জোট প্রায় অভিন্ন মনোভাব পোষণ করেছেন। দুটি দলের নির্বাচনী যে অঙ্গীকার এবং কূটনৈতিক পরিকল্পনা তা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরীক হলো কংগ্রেস। কংগ্রেস তার নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেছে এবং বাংলাদেশে যেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার রাজনীতি বিকশিত হয়, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের যে বীজ বপিত হয়েছিল সেই সম্পর্ক যেন আরও এগিয়ে যায়, সেই ব্যাপারে অঙ্গীকার করা হয়েছে। ভারতীয় কংগ্রেস তার নির্বাচন কূটনৈতিক পরিকল্পনায় যে সমস্ত বিষয়গুলো রেখেছেন তাতে বাংলাদেশে যাতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের লালন না হয়, ধর্মান্ধ উগ্র মৌলবাদীরা যাতে ক্ষমতাবান না হয়ে উঠে সে ব্যাপারে সতর্ক দেয়া হয়েছে।

একই রকম অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছে বিজেপির নির্বাচনী অঙ্গিকারে। বিজেপি সবসময় মনে করে যে, বাংলাদেশের ভূখন্ড যেন ভারতের বিছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় কেন্দ্রে পরিণত না হয়। বাংলাদেশে যেন ধর্মান্ধ, মৌলবাদি, সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা চাড়া না দিয়ে ওঠে এবং বাংলাদেশে যাতে সংখ্যালঘু নিপিড়ন না হয়।

ভারতের বিজেপি সমর্থিত থিংক ট্যাংক গুলো সুস্পষ্টভাবে বলেছে যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপিড়ন বন্ধ করার জন্য এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে রাখার জন্য আওয়ামী লীগের কোন বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় না থাকে তাহলে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে বলে মনে করে বিজেপি এবং কংগ্রেস দু’টি রাজনৈতিক দল। এ দুটির বাইরেও যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো ভারতের কূটনীতি এবং পররাষ্ট্র নীতিতে ভূমিকা রাখতে পারে সে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থানও কংগ্রেস এবং বিজেপির মতোই। কংগ্রেসের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের লড়াই করা তৃণমূল বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বিশেষ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। আর একারণেই ভারতের নির্বাচনে ফলাফল যাই হোক না কেন, এটি বিএনপির জন্য কোন আশার বাণী আনবে না।

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বক্তব্যটি স্বীকার করেন। তবে নাম প্রকাশ করে বিএনপির কোন নেতাই ভারতের নির্বাচন নিয়ে এখন কোন মন্তব্য করতে রাজি নন। তবে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলছেন, ‘ভারতের মনোভাব যাই হোক না কেন, আমাদেরকে ক্ষমতায় আসতে হবে জনগণের সমর্থন নিয়েই। আমরা যদি জনগণের তাহলে ভারত কি ভাবলো না ভাবলো, ভারত কাকে চাই বা না চাই সেটি কোন বিষয় নয়’।


বিজেপি   বিএনপি   কংগ্রেস   ভারত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘মাই ম্যান’দের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে নীরব বিপ্লব

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা এবং ওবায়দুল কাদেরের সুস্পষ্ট ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের তৃণমূলে রীতিমতো জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক উপজেলায় এ সিদ্ধান্তের পক্ষে বিজয় মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, এটি মাই ম্যানদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা এবং দল বাচানোর জন্য একটি দূরদর্শী পদক্ষেপ।

আওয়ামী লীগে দীর্ঘদিন ধরে মন্ত্রী-এমপিদের দাপটে দলে ত্যাগী এবং বঞ্চিত নেতারা কোণঠাসা অবস্থায় ছিলেন। বিশেষ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর মন্ত্রীরা এলাকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের জন্য রীতিমতো রাম রাজত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের বহু নেতা অভিযোগ করেছেন যে, মন্ত্রী-এমপিরা এখন দলের অন্য কোন নেতাকেও রাখতে দিচ্ছিলেন না। তারা সবসময় চেষ্টা করছেন যে, পরিবারের লোকজনকেই বিভিন্ন পদ পদবী দিতে।

একাধিক নেতা বলছেন যে, রূপগঞ্জের কথাই ধরা যাক, রূপগঞ্জে সাবেক মন্ত্রী এবং বর্তমান সরকারের এমপি গাজী গোলাম দস্তগীর পুরো রূপগঞ্জকেই যেন দখল করে ফেলেছেন। তার স্ত্রীকে পৌরসভার মেয়র করা হয়েছে, তার ছেলে এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন। সবকিছু মিলিয়ে রূপগঞ্জ এখন যেন গাজীগঞ্জে পরিণত হয়েছে। শুধু রূপগঞ্জ একা না এরকম অনেক নির্বাচনী এলাকায় পরিবারতন্ত্র একটি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে।

এর আগে আওয়ামী লীগের তৃণমূল এবং স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা এর বিরুদ্ধে কথা বলতেন না। কথা বললেই তাদের বিরুদ্ধে নানা রকম হয়রানি করা হতো। তাদের উপর হামলা করা হতো। এখন সেই পরিস্থিতি পাল্টে যাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় যারা মন্ত্রী-এমপি হয়ে এলাকায় জমিদারতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছেন তাদের মূল ক্ষোভের জায়গা হলো তৃণমূল আওয়ামী লীগ। আর এই তৃণমূল আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করা তাদেরকে হটিয়ে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মিশন শুরু হয়েছিল বেশকিছু নির্বাচনী এলাকায়। এখন আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনার ফলে তৃণমূলের মধ্যে একধরনের উত্থান ঘটেছে। এটি নির্বাচনের আবহাওয়া পাল্টে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এখন এই নির্বাচনে যারাই অংশগ্রহণ করুক বা যেই ফলাফলই হোক না কেন, ‘মাই ম্যান’দেরকে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আলাদা পক্ষপাত দিতে পারবে না বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ আওয়ামী লীগ সভাপতি সুস্পষ্টভাবেই নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এটি সরকারের আনুষ্ঠানিক অবস্থান। এর ফলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা প্রশাসন মন্ত্রী-এমপিদের পছন্দের প্রার্থীদের জিতিয়ে আনার জন্য আলাদা কোন অবস্থান নিতে পারবেন না। এটির ফলে নির্বাচনে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের একটি পথ তৈরি হবে।

তবে তৃণমূলের স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন যে, এটির ফলে যেটি সবচেয়ে ভালো হয়েছে তা হলো ‘মাই ম্যানরা’ এখন কোণঠাসা থাকবেন এবং যারা স্থানীয় পর্যায়ে তৃণমূলকে উপেক্ষা করতেন তাদের জন্য এটি একটি সুস্পষ্ট বার্তা।

টাঙ্গাইলে ড. আব্দুর রাজ্জাক, মাদারীপুরে শাজাহান খান, রূপগঞ্জে গোলাম দস্তগীর গাজীর মত যারা তাদের এলাকায় পরিবারতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা করছেন তাদের বিরুদ্ধে এখন তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ হবে এবং পরিবারতন্ত্রকে হটানোর ক্ষেত্রে একটা বড় ধরনের ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


আওয়ামী লীগ   তৃণমূল   উপজেলা নির্বাচন   রাজনীতি   ড. আব্দুর রাজ্জাক   শাজাহান খান   গোলাম দস্তগীর গাজী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যুক্তরাজ্যে থাকলে রাজনীতি করতে পারবেন না তারেক?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তারেক জিয়ার যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে নতুন সংকট তৈরি হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ রয়েছে। বিশেষ করে অপরাধ বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার এখন তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আবার নতুন করে প্রচেষ্টা শুরু করেছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ড. হাছান মাহমুদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর পরই এ বিষয়টিকে তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসকে এ ব্যাপারে তৎপর হওয়ার জন্য তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। তার এই নির্দেশনা অনুযায়ী যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস আবার নতুন করে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করছে এবং তারেক জিয়ার ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানতে চাচ্ছে।

তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করার অঙ্গিকার আওয়ামী লীগ ৭ জানুয়ারী নির্বাচনেই করেছে। সেই অঙ্গিকার বাস্তবায়নের জন্য আওয়ামী লীগ তার চেষ্টা এবং তৎপরতা নতুন করে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। এরকম বাস্তবতায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সারা কুক বিএনপির তিন নেতাকে ডেকেছিলেন এবং তাদের কাছে এ মনোভাবগুলো জানান।

বিট্রেনসহ পশ্চিমা দেশগুলো এখন চাইছে যে, তারেক জিয়ার রাজনীতির নেতৃত্বের অবসান ঘটুক। তিনি বিএনপিতে কোন অলঙ্কারিক পদ গ্রহণ করুক। যেন তিনি উপদেষ্টা বা দলের পৃষ্টপোষক হতে পারেন। কিন্তু দলের নির্বাহী দায়িত্ব যেন তিনি পালন না করেন সে ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলো থেকেও বিএনপির উপর এখন একধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, একাধিক কারণে পশ্চিমা দেশগুলো এরকম মনোভাব ব্যক্ত করছে। প্রথমত, পশ্চিমা দেশগুলো অনেক নীতি নির্ধারণী বিষয়ে যখন মতামত জানতে চান তখন বিএনপি নেতারা এই মতামত দিতে পারেন না। কারণ সব কিছুর জন্য তারা তারেক জিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকেন। লন্ডনে তারেক জিয়া যে নির্দেশ দিবে সে নির্দেশ পালন করা যেন তাদের একমাত্র কাজ। ফলে কূটনৈতিকরা বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন।

দ্বিতীয়ত, তারেক জিয়ার এখন সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত থাকাটা সংগঠন এবং গণতন্ত্রের পরিপন্থী। কারণ, একজন দন্ডিত ব্যক্তি কখনোই একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে থাকতে পারেন না এবং থাকা উচিত নয়। এরককম বাস্তবতা থেকে তারেক জিয়াকে রাজনীতির মূল নেতৃত্বের বাইরে রাখার জন্য যুক্তরাজ্য প্রস্তাব করছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, তারেক জিয়া একজন রাজনৈতিক আশ্রয় লাভকারী হিসেবে যুক্তরাজ্যে গত ১৬ বছর ধরে অবস্থান করছেন। আর রাজনৈতিক আশ্রয় লাভকারী কোন ব্যক্তিকে যুক্তরাজ্য রাখে মানবাধিকার এবং জীবনের অধিকার সুরক্ষার স্বার্থেই। তারেক জিয়া বাংলাদেশে এলে তার জীবন হুমকি হতে পারে, তিনি প্রতিহিংসার স্বীকার হতে পারেন, একারণেই ব্রিটিশ সরকার তাকে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রাখতে পারেন। কিন্তু ব্রিটেনে থেকে যদি তিনি অন্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বলেন বা কাজ করেন, একজন রিফিউজি হয়ে যদি তিনি অন্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেন- সেক্ষেত্রে সেটি হবে রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। এখন তারেক জিয়া সেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জাড়িত তা অনেকে মনে করে। আর এ কারণেই সরকারের পক্ষ থেকে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তাছাড়া সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি এখন সামনে এসেছে তা হলো, তারেক জিয়া একধিক মামলায় দন্ডিত হয়েছেন এবং এ মামলাগুলো হাইকোর্টে বিচারাধীন আছে। আদালতে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্যই তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে ফেরত আনা জরুরী বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।


আওয়ামী লীগ   বিএনপি   তারেক জীয়া   পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কঠোর শেখ হাসিনা: সিদ্ধান্ত না মানলে সব হারাবেন মন্ত্রী-এমপিরা

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। শুধু কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেই তিনি ক্ষান্ত হননি। যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করারও শাস্তিমূলক হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। আর এ কারণে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একের পর এক বৈঠক করছেন এবং মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা যাতে উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেন সে জন্য সতর্ক বার্তা ঘোষণা করছেন।

আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা বলছেন, ওবায়দুল কাদের যা বলছেন তা হলো শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ সভাপতির বক্তব্যের অনুরণন। আওয়ামী লীগ সভাপতি যেভাবে তাকে নির্দেশনা দিচ্ছেন সে বক্তব্যই তিনি প্রচার করছেন। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা যেন সারা দেশে আওয়ামী লীগের কোন কোন এমপি-মন্ত্রী এবং নেতাদের স্বজনরা প্রার্থী আছেন তার তালিকা তৈরি করেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ৩ টি বিষয়ের প্রতি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রথমত, কোন মন্ত্রী-এমপি কিংবা প্রভাবশালী নেতা তার নিকট আত্মীয় বা স্বজনকে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী করাতে পারবে না। দ্বিতীয়ত, উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রী কোন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা করতে পারবে না। তৃতীয়ত, কোন মন্ত্রী এমপি উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রশাসন বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে হাত মেলাতে পারবেন না। এই ৩ টির কোন একটির যদি ব্যত্যয় হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবে না তাদের বিরুদ্ধে ধাপে ধাপে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, উপজেলা নির্বাচনের ৩ ধাপে যে তফসিল নির্বাচন কমিশন ঘোষনা করেছে। তার মধ্যে প্রথম ধাপে ২৭ জন মন্ত্রী এমপির স্বজনরা উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। ২য় ধাপে প্রার্থীতার সংখ্যা আরো বেশি হওয়ার কথা। এখানে ১৫২ টি উপজেলার মধ্যে ৮৭ জন মন্ত্রী-এমপির সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করার আগ্রহ জানিয়েছে, যারা মন্ত্রী-এমপিদের নিকট আত্মীয়। আর ৩য় ধাপে এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০০-২৫০ জন মন্ত্রী-এমপির আত্মীয় স্বজন উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছেন। এখন যদি তারা নির্বাচন থেকে সরে না দাড়ান, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে?

আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলছেন, আগামী ৩০ এপ্রিল দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, এই বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তবে সিদ্ধান্ত হবে ধাপে ধাপে। যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে প্রার্থী দিবেন তাদেরকে প্রথমত, দলের পদ হারাতে হবে। দ্বিতীয়ত, আগামী নির্বাচনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে তাদেরকে কালো তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হবে। তৃতীয়ত, যারা মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী আছেন, তারা মন্ত্রীত্ব ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, শেষ পর্যন্ত কেউ যদি দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হটকারী অবস্থান গ্রহন করে, তাহলে দল থেকে বহিষ্কারের মতো আওয়ামী লীগ গ্রহণ করতে পারে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র মনে করছে।

তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে আছেন। এ ব্যাপারে তিনি কোন ছাড় দেবেন না। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কালো তালিকায় যদি থাকেন, তাহলে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন হতে বাধ্য।   


শেখ হাসিনা   উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   মন্ত্রী-এমপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন ঘিরে বিএনপির কেন্দ্র ও তৃণমূলে তোলপাড়

প্রকাশ: ০৪:২৩ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে তারা আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিবে না। আর যদি দলটির কোনো নেতাকর্মী স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেয় তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি বহিষ্কারও করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

তবে দলের এমন কঠোর হুঁশিয়ারি থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন তৃণমূল বিএনপি’র নেতারা। তারা মনে করছেন, যেহেতু উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না, সে কারণে উপজেলা নির্বাচন বর্জন করা উচিত হয়নি দলের। বরং এই নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থীরা দাঁড়ালে তাদের শক্তি সামর্থ্য হতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির কেন্দ্র ও তৃণমূলের মধ্যে চলছে তোলপাড়। বাড়ছে দ্বন্দ্ব এবং দূরত্ব। বর্তমানে যেসকল নেতাকর্মীরা নির্বাচনের মাঠে রয়েছে তাদের নির্বাচন থেকে ফেরানো নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন বিএনপি’র নীতিনির্ধারকেরা। তারা মনে করছেন, প্রথম ধাপের নির্বাচনে প্রার্থীদের ফেরানো না গেলে পরের ধাপগুলোতে প্রার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে, আর তাতে দলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।

আগামী ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ হবে। এই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ। এরই মধ্যে এই নির্বাচনে বিএনপির ৪৫ নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে বিএনপির তৃণমূলের একাধিক নেতা বলছেন, জাতীয় আর স্থানীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে তাদের জনপ্রিয়তা তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবেন। এতে বিএনপির অনেক নেতার সম্ভাবনা আছে জেতার।

অন্যদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা আশা করে বসে আছেন যে, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ এপ্রিলের আগেই সবাই ভোট থেকে সরে দাঁড়াবেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক জানান, কেউ যদি দলের নির্দেশনা অমান্য করেন তাহলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএনপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপি এক সংবাদ বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না। তাদের দাবি এ নির্বাচন হচ্ছে ‘প্রহসনমূলক নির্বাচন’।

কিন্তু কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও সারা দেশের নেতাকর্মীদের অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যারা বিগত সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার তারা নির্দলীয় ব্যানারে প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে। আর যেহেতু তারা স্বতন্ত্রভাবেই নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়েছেন সেজন্য লন্ডন বা দলের কেন্দ্রীয় মহলের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় থাকছেন না।

নির্বাচনে আগ্রহী ময়মনসিংহ জেলা দক্ষিণ যুবদলের সহসভাপতি মাজহারুল ইসলাম জুয়েল বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাঙা রাখতে এবং তাদের সংঘবদ্ধ করতেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন অংশ নিলে বহিষ্কারও করতে পারে। বিষয়টি মাথায় রেখে ত্রিশাল উপজেলার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগ করছি, তাদের সঙ্গে কথা বলছি। তবে জনগণ চায় আমি নির্বাচনে অংশ নিয়ে তাদের প্রতিনিধি হই।

এছাড়াও ত্রিশাল উপজেলা বিএনপি নেতা আনোয়ার শাদাত বলেন, আমার বাবা বিএনপি থেকে ত্রিশালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। আমার বাবার ইচ্ছা ছিল আমিও জনপ্রতিনিধি হই। তার ইচ্ছাতেই বিএনপির সঙ্গে আছি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে গণসংযোগ শুরু করেছি। এ ব্যাপারে জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। দলীয় সিদ্ধান্তে বহিষ্কার করলেও নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করে জনগণের সেবা করতে চাই। যেহেতু স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় কোনও প্রতীক থাকবে না, সেই বিবেচনা থেকে আমি নির্বাচনে অংশ নিতে চাই।

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে দলের শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখার জন্য এবার তিনি চেয়ারম্যান পদে ভোট করছেন।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার দুবারের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া দুলাল বলেন, তৃণমূলের অনেক নেতাই নির্বাচন করতে আগ্রহী।

বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পরপরই উপজেলা নির্বাচন বিএনপিকে অনেকটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে। নির্বাচনে অংশ না নিলে মাঠপর্যায়ে জনপ্রতিনিধিত্বশীল নেতাদের ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক মাসুদুল আলম চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে তিনি জানান, আমরা দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি অনুগত। তার পরও অনেক সময় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিষয়ে স্থানীয় মতামতে ভিন্নতাও আসে। আমরা স্থানীয়ভাবে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন শুরু হয়। বিএনপি ২০২১ সালের মার্চের পর থেকে সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। বরং দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের অনেক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। এর আগেও সিটি করপোরেশন বা ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। তা সত্ত্বেও দলটির তৃণমূলের অনেক নেতা অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে দেড় শতাধিক প্রার্থী বিজয়ীও হয়েছেন।


উপজেলা নির্বাচন   বিএনপি   তৃণমূল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন