নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জাপা চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ আগামীকাল সোমবার দেশে ফিরছেন। তবে দেশে ফিরলেও তিনি ভোটের মাঠে সরব হচ্ছেন না। সিঙ্গাপুরের ডাক্তারেরা জানিয়েছেন জাপা চেয়ারম্যানকে পূর্ণ বিশ্রামেই থাকতে হবে। তবে ক্ষমতাসীন সরকারের উপর অনেকটা বিক্ষুব্ধ হয়ে নীরব থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এরশাদ এমনটাই জানিয়েছেন এরশাদের ঘনিষ্ঠজনেরা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন বন্টন নিয়ে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিরোধ তৈরী হয়। জাতীয় পার্টির ধারণা ছিল মহাজোট থেকে তারা কাঙ্ক্ষিত আসন নিয়ে সারাদেশে লাঙলের প্রার্থী দেবেন। তাছাড়া এরশাদের নেতৃত্বাধীন একটি সম্মিলিত জোটও গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে অনেক দরকষাকষির মাধ্যমে জাপার ভাগ্যে জুটে মাত্র ২৬টি আসন। মহাজোটে মাত্র ২৬ আসন নিয়ে জাপাকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। জাপাকে সম্মানজনক আসন বরাদ্দ না দেয়ায় এরশাদ হঠাৎ করেই নিজেকে গুটিয়ে নেন। পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গাকে দায়িত্ব দেন মহাসচিবের। আর নয়া মহাসচিবকে দায়িত্ব দেয়া হয় সরকারের সঙ্গে দরকষাকষি করে আসন সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য।
নয়া মহাসচিব রাঙ্গা সারারাত দেন দরবার করেও কাঙ্ক্ষিত আসন আনতে পারেননি ঘরে। আর পরের প্রেক্ষাপট ভিন্ন সরকারের নীতি-নির্ধারকদের সাথে ভিন্নমত পোষণ করে দেড় শতাধিক আসনে মহাজোটের বাইরে জাতীয় পার্টি প্রার্থিতা ঘোষণা করে। শুরুতে সরকার বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিলেও যতই দিন যাচ্ছে জাপার এসব উন্মুক্ত প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের জন্য চরম মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একাধিক সূত্র জানায়, প্রায় ৫০টিরও অধিক আসনে জাপা প্রার্থীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জোরালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আর যতই দিন যাচ্ছে ঐসব আসনে জাপা-আওয়ামী লীগ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে। তবে এসব বিষয় নিয়ে জাপার কোনস্তরের নেতা-কর্মীদের কোন মাথাব্যথা নেই। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নেই কোন দিক নির্দেশনা। এরশাদবিহীন জাপার প্রার্থীরা অন্ধকারে হাবুডুবু খাচ্ছেন বলে অনেকেই খেদোক্তি প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, সিঙ্গাপুর থেকে এরশাদ দেশে ফিরে আসলেও কোন আশার আলো দেখছেন না জাপার দেড় শতাধিক আসনের উন্মুক্ত প্রার্থীরা। শতাধিক আসনের প্রার্থীরা নিজেদের মত করে কাউকে না কাউকে সমর্থন দিয়ে নীরবেই মাঠ ছাড়ছেন। সিঙ্গাপুর থেকে এরশাদের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল ওয়াহাব মিয়া বাংলা ইনসাইডারকে জানান, স্যার পুরোপুরি সুস্থ নন, দেশে ফিরলেও তাঁকে বেশ কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হবে। ভোটের মাঠে উপস্থিত থাকা নিয়েও রয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা জানান, স্যার (এরশাদ) দেশে ফেরার পরই অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে তিনি জানান, কিছু করার জন্য হাতে যে সময় থাকা প্রয়োজন ছিল তা নেই।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
বিএনপি জনপ্রিয় নেতা কর্নেল অলি আহমদ মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।