নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০১ এএম, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
প্রতিবেশী দুই জেলা যশোর ও মাগুরায় নির্বাচনী আসন মোট ৮টি। যশোরে ভোটার সংখ্যা ২০ লাখ ৯১ হাজার ২৮৪। জেলাটিতে নারী ভোটার ১০ লাখ ৪২ হাজার ৭৪৭ এবং পুরুষ ভোটার ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৫৩৭। অন্যদিকে মাগুরায় মোট ভোটার ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭২। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ৪২ হাজার ৮৯৫। আর নারী ভোটার ৩ লাখ ৪২ হাজার ৭৭। অতীত নির্বাচনগুলোর ফলাফল এবং ভোটের মাঠের নানা হিসাব-নিকাশ করে বাংলা ইনসাইডার প্রেডিক্ট করছে এই এলাকায় নৌকা ৬টি এবং ধানের শীষ ২টি আসনে জিতবে।
যশোর-১
যশোর-১ আসনে ১৭ বছর পর আওয়ামী লীগ বনাম বিএনপির প্রার্থীদের সরাসরি লড়াই হচ্ছে। এখানে এবার আওয়ামী লীগের শেখ আফিল উদ্দিনের বিরুদ্ধে লড়ছেন বিএনপির মফিকুল হাসান তৃপ্তি। শেখ আফিল উদ্দিন আফিল গ্রুপের কর্ণধার এবং এই আসনের বর্তমান সাংসদ। ২০০৮ সালেও তিনি এখান থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিগত ১০ বছরে তিনি এলাকায় নিজের শক্ত অবস্থান তৈরী করেছেন। আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা এলাকায় সংঘবদ্ধ হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে বিএনপি কিছুটা নিশ্চুপ অবস্থানে রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে এখানে নৌকার জয়ের পাল্লাই ভারি।
যশোর-২
এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাসির উদ্দিন। অন্যদিকে বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মুহাদ্দিস আবু সাইদ। আবু সাইদ ২০০১ সালের নির্বাচনে জামায়েতের প্রার্থী হিসেবে এই আসন থেকে জয় পেয়েছিলেন। কয়েকদিন আগে তিনি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। একারণে তিনি সাধারণ জনগণের সহানুভূতি পেতে পারেন। এখান থেকে তাঁর জয়ের সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছি আমরা। কারণ এই আসনের নৌকার প্রার্থী নাসির উদ্দিন এবারই প্রথম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি কিছুটা অনভিজ্ঞ। তাছাড়া এই এলাকায় আওয়ামী লীগ একতাবদ্ধ নয়।
যশোর-৩
যশোর-৩ আসন থেকে এবার নির্বাচনে মুখোমুখি হয়েছেন দুই দলের দুই তরুণ প্রার্থী। ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছেন অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তার বিরুদ্ধে লড়ছেন নৌকার প্রার্থী কাজী নাবিল আহমেদ। নাবিল আহমেদ জেমকন গ্রুপের কর্ণধার। তিনি এলাকার বর্তমান সাংসদ হলেও এলাকায় তার জনসমর্থন কম। অন্যদিকে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত সদ্য প্রয়াত বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলামের ছেলে। যশোরে তরিকুল ইসলাম অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাঁর সন্তান হিসেবে অমিত এলাকাবাসীর অকুন্ঠ সমর্থন এবং ভালোবাসা পাচ্ছেন। একারণে এই আসনে ধানের শীষের জয় দেখছি আমরা।
যশোর-৪
এখানে আওয়ামী লীগের রণজিৎ কুমার রায়ের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির টি এস আইয়ুব। রণজিৎ কুমার রায় এই আসনের গত দুই মেয়াদের সংসদ সদস্য। এলাকায় তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির টি এস আইয়ুব ২০০৮ সালে এখান থেকে নির্বাচন করে হেরে যান। এবারেও তিনি জয় পেতে ব্যর্থ হবেন বলে মনে করছি আমরা। কারণ বিএনপির নেতা কর্মীরা একের পর এক অভিযোগ করলেও নির্বাচনের মাঠে তারা একেবারেই তৎপর নন।
যশোর-৫
এই আসনে আওয়ামী লীগের স্বপন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে লড়ছেন ইসলামি ঐক্যজোটের মুফতি ওয়াক্কাস। মুফতি ওয়াক্কাস ২০০১ এর নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে অংশ নিয়ে জয় পেয়েছিলেন। অন্যদিকে স্বপন ভট্টাচার্য ২০১৪ সালে এই আসন থেকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয় পান। এলাকায় তিনি জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী। অন্যদিকে মুফতি ওয়াক্কাস এবার ব্যাকফুটেই রয়েছেন। ধানের শীষে লড়লেও স্থানীয় বিএনপির সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছেন না তিনি। এ কারণে এই আসনে নৌকা জিতবে বলে মনে করছি আমরা।
যশোর-৬
এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইসমাত আরা সাদেক। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবুল হোসেন। এই এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রভাব বেশি। ১৯৯৬ সাল থেকেই এই আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে। ইসমাত আরাও এই এলাকায় পারিবারিকভাবেই অত্যন্ত প্রভাবশালী। এই আসনের বর্তমান সাংসদ এবং জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী তিনি। এখানকার তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝেও তিনি তুমুল জনপ্রিয়। বিগত ৫ বছরে তিনি এই নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। এসব কারণে এই আসনে নৌকার জয় দেখছি আমরা।
মাগুরা-১
মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব সাইফুজ্জামান শিখর। তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মনোয়ার হোসেন। এরা দুজনই এবারই প্রথম নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। শিখর নতুন প্রার্থী হলেও দীর্ঘ ১০ বছর ধরে স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। একারণে মাগুরায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মাঝে তাঁর প্রভাব এবং জনপ্রিয়তা রয়েছে। এই আসনে সংঘবদ্ধ হয়েই কাজ করছে আওয়ামী লীগ। এর ঠিক বিপরীত চিত্র দেখা গেছে বিএনপি শিবিরে। তারা যুদ্ধে নামার আগেই হাল ছেড়ে দিয়েছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এ কারণে এখানে নিশ্চিতভাবেই নৌকার জয় হবে বলে মনে করছি আমরা।
মাগুরা-২
এবার মাগুরা-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এড. নিতাই রায় চৌধুরী। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রার্থী আলহাজ মুফতি মস্তোফা কামালও এই আসন থেকে ভোটযুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন। ত্রিমুখী লড়াই হলেও অতীত নির্বাচনগুলোর হিসাব-নিকাশ এবং বর্তমান পরিস্থিতি আওয়ামী লীগের জয়ের আভাস দিচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনের প্রতিটি ধাপেই ভোটের দিন পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে-এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে
একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। ইসির উচ্চপর্যায়ের সভায় গোয়েন্দা সংস্থা তথ্য জানিয়েছেন।
একটি গোয়েন্দা সংস্থা নির্বাচন কমিশনকে
জানিয়েছে, প্রথম ধাপে ৭৮টি, দ্বিতীয় ধাপে ৭০টি ও তৃতীয় ধাপে ৪০টি উপজেলায় নিরাপত্তা
ঝুঁকি রয়েছে। আরেকটি সংস্থা জানিয়েছে, শুধু প্রথম ধাপে ৪৯টি উপজেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ
করেছে। ভোটের দিন পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে-নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আভাস দিয়েছে। এজন্য
প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা নিতে ইসিকে পরামর্শ দিয়েছেন এ দুটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।
তবে তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা
পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন প্রতিহতের বড় ধরনের কর্মসূচি নেই।
গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ষষ্ঠ উপজেলা
পরিষদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত
বৈঠকে এমন আভাস দেওয়া হয়। ওই সভায় পরিস্থিতি অবনতির বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়। বলা
হয়, দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন ২৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করছেন।
অনেক উপজেলায় আওয়ামী লীগের একাধিক প্রভাবশালী প্রার্থী রয়েছেন। ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ
কোন্দলও রয়েছে। ওই রেশে ভোটের দিন খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
বৈঠকে আরও বলা হয়, বিএনপি ও জামায়াত
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করেছে। তবুও বিচ্ছিন্নভাবে বিএনপির ১১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করছেন। জামায়াতেরও পাঁচজন মাঠে রয়েছেন। এসব উপজেলায় সহিংসতার শঙ্কা বেশি। নির্ভরযোগ্য
একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আরও জানা যায়, সভায় সাম্প্রতিক ঘটনায়
অতি নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় বান্দরবানের থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার নির্বাচন
স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি উপজেলাগুলোয় ২০১৯ সালের তুলনায় এবার আইনশৃঙ্খলা
নিরাপত্তা বলয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। এবার সাধারণ ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় তিনজন অস্ত্রধারী
পুলিশসহ ১৬ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৭-১৮ জন আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। পার্বত্য ও দুর্গম এলাকার সাধারণ কেন্দ্রে
চারজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৭ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে পাঁচজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ
১৮-১৯ জন নিয়োজিত হবেন।
ওই সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে পরে
সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, সভায় উল্লেখযোগ্য
সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে-এবার উপজেলা নির্বাচনে অন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চেয়ে
বেশিসংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হবে। চার ধাপে ভোট হওয়ায় জেলা পর্যায়ে
সংশ্লিষ্টদের চাহিদা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। সুষ্ঠু ভোট
আয়োজনে উপজেলাভিত্তিক বিজিবি মোতায়েন করা হবে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, প্রতি উপজেলায়
সর্বনিম্ন দুই প্লাটুন এবং সর্বোচ্চ চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে।
নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে কি
না-এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, একই দলের একাধিক প্রার্থী ভোটে অংশ নিচ্ছেন।
এমনকি যেসব দল ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে, তাদেরও প্রার্থী রয়েছেন বলে গোয়েন্দা রিপোর্টে
উঠে এসেছে। ফলে ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। তবে নির্বাচনে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি
তৈরির আশঙ্কা নেই।
তিন উপজেলা নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে
মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ‘পার্বত্য জেলা বান্দরবানে বিশেষ করে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে
যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। আপাতত এ তিনটি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
পরে সুবিধাজনক সময়ে এ নির্বাচন করা হবে’।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী
হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে দুই ঘণ্টাব্যাপী চলে রুদ্ধদ্বার
এ সভা। সভায় চারজন নির্বাচন কমিশনার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং বিজিবি, র্যাব, কোস্ট গার্ড ও আনসারের মহাপরিচালক
অংশ নেন। এছাড়া পুলিশের আইজি, গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই ও এনএসআই-এর মহাপরিচালকের পক্ষে
সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন কমিশন এ পর্যন্ত চার ধাপে
৪৭৭টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেছে। প্রথম ধাপে ১৪৮টি উপজেলায় ৮মে, দ্বিতীয়
ধাপে ১৫৯টিতে ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২টিতে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫টিতে ৫ জুন ভোট হবে।
প্রথম ধাপের নির্বাচনে ২৬ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়
জয়ী হয়েছেন। বাগেরহাট সদর, মুন্সীগঞ্জ সদর, মাদারীপুরের শিবচরে ও ফেনীর পরশুরামে চেয়ারম্যান,
সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়
নির্বাচিত হয়েছেন। তাই এ চার উপজেলায় ভোটগ্রহণের প্রয়োজন হবে না।
বৈঠক সূত্র জানায়, পুলিশ ও একাধিক গোয়েন্দা
সংস্থার কর্মকর্তারা বৈঠকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে উপজেলা নির্বাচনে
সহিংসতার আশঙ্কার কথা জানান। একটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা বৈঠকে বলেন, অনেক জায়গায়
আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন ২৬ প্রার্থী
নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। বিএনপি-জামায়াতেরও প্রার্থী আছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনে পর্যাপ্ত কোনো
ঝুঁকি না থাকলেও ভোটের দিন খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। প্রথম ধাপের ৪৯টি উপজেলাকে
ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ কর্মকর্তা আরও বলেন, এ নির্বাচনে ৬৯টি উপজেলায়
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে। এ মেশিনে ভোটগ্রহণ বিলম্ব হলেও পরিস্থিতি
অবনতি হতে পারে।
আরেক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি মঙ্গলবার
সকাল পর্যন্ত তফশিল ঘোষিত তিন ধাপের মধ্যে প্রথম ধাপের ৭৮টি, দ্বিতীয় ধাপের ৭০টি ও
তৃতীয় ধাপের ৪০টি ঝুঁকিপূর্ণ বলে সভায় উল্লেখ করেন। তিনি আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব
এবং বিচ্ছিন্নভাবে বিএনপির ১১৬ জন প্রার্থী মাঠে থাকার কথা জানিয়ে বলেন, এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতার
কারণে নির্বাচনের দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। যেহেতু সব এলাকা সমান
ঝুঁকিপূর্ণ নয়, তাই ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনায় নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
সভায় পুলিশের পক্ষ থেকে সরকারি দলের
একাধিক প্রার্থী মাঠে থাকা ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা
প্রকাশ করা হয়। র্যাবের মহাপরিচালক জানান, র্যাব মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে
নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবে। তবে পরিস্থিতি অবনতি হলে রিটার্নিং ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তার
নির্দেশে র্যাব ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করবে।
উপজেলা নির্বাচন গোয়েন্দা সংস্থা ইসি
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।
আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতিটি ধাপেই ভোটের দিন পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে-এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। ইসির উচ্চপর্যায়ের সভায় গোয়েন্দা সংস্থা তথ্য জানিয়েছেন। একটি গোয়েন্দা সংস্থা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে, প্রথম ধাপে ৭৮টি, দ্বিতীয় ধাপে ৭০টি ও তৃতীয় ধাপে ৪০টি উপজেলায় নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। আরেকটি সংস্থা জানিয়েছে, শুধু প্রথম ধাপে ৪৯টি উপজেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করেছে। ভোটের দিন পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে-নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আভাস দিয়েছে। এজন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা নিতে ইসিকে পরামর্শ দিয়েছেন এ দুটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত বিরোধ ও তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মত বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের অনেকের। সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে তুমুল জনপ্রিয় এই নেতাকে বাদ দেওয়ায় ফোরামের নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ বিএনপির সিনিয়র নেতারাও। এ নিয়ে বিএনপিতে এখন বিভক্ত স্পষ্ট।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।