নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০১ এএম, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
প্রতিবেশী দুই জেলা যশোর ও মাগুরায় নির্বাচনী আসন মোট ৮টি। যশোরে ভোটার সংখ্যা ২০ লাখ ৯১ হাজার ২৮৪। জেলাটিতে নারী ভোটার ১০ লাখ ৪২ হাজার ৭৪৭ এবং পুরুষ ভোটার ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৫৩৭। অন্যদিকে মাগুরায় মোট ভোটার ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭২। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ৪২ হাজার ৮৯৫। আর নারী ভোটার ৩ লাখ ৪২ হাজার ৭৭। অতীত নির্বাচনগুলোর ফলাফল এবং ভোটের মাঠের নানা হিসাব-নিকাশ করে বাংলা ইনসাইডার প্রেডিক্ট করছে এই এলাকায় নৌকা ৬টি এবং ধানের শীষ ২টি আসনে জিতবে।
যশোর-১
যশোর-১ আসনে ১৭ বছর পর আওয়ামী লীগ বনাম বিএনপির প্রার্থীদের সরাসরি লড়াই হচ্ছে। এখানে এবার আওয়ামী লীগের শেখ আফিল উদ্দিনের বিরুদ্ধে লড়ছেন বিএনপির মফিকুল হাসান তৃপ্তি। শেখ আফিল উদ্দিন আফিল গ্রুপের কর্ণধার এবং এই আসনের বর্তমান সাংসদ। ২০০৮ সালেও তিনি এখান থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিগত ১০ বছরে তিনি এলাকায় নিজের শক্ত অবস্থান তৈরী করেছেন। আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা এলাকায় সংঘবদ্ধ হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে বিএনপি কিছুটা নিশ্চুপ অবস্থানে রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে এখানে নৌকার জয়ের পাল্লাই ভারি।
যশোর-২
এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাসির উদ্দিন। অন্যদিকে বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মুহাদ্দিস আবু সাইদ। আবু সাইদ ২০০১ সালের নির্বাচনে জামায়েতের প্রার্থী হিসেবে এই আসন থেকে জয় পেয়েছিলেন। কয়েকদিন আগে তিনি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। একারণে তিনি সাধারণ জনগণের সহানুভূতি পেতে পারেন। এখান থেকে তাঁর জয়ের সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছি আমরা। কারণ এই আসনের নৌকার প্রার্থী নাসির উদ্দিন এবারই প্রথম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি কিছুটা অনভিজ্ঞ। তাছাড়া এই এলাকায় আওয়ামী লীগ একতাবদ্ধ নয়।
যশোর-৩
যশোর-৩ আসন থেকে এবার নির্বাচনে মুখোমুখি হয়েছেন দুই দলের দুই তরুণ প্রার্থী। ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছেন অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তার বিরুদ্ধে লড়ছেন নৌকার প্রার্থী কাজী নাবিল আহমেদ। নাবিল আহমেদ জেমকন গ্রুপের কর্ণধার। তিনি এলাকার বর্তমান সাংসদ হলেও এলাকায় তার জনসমর্থন কম। অন্যদিকে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত সদ্য প্রয়াত বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলামের ছেলে। যশোরে তরিকুল ইসলাম অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাঁর সন্তান হিসেবে অমিত এলাকাবাসীর অকুন্ঠ সমর্থন এবং ভালোবাসা পাচ্ছেন। একারণে এই আসনে ধানের শীষের জয় দেখছি আমরা।
যশোর-৪
এখানে আওয়ামী লীগের রণজিৎ কুমার রায়ের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির টি এস আইয়ুব। রণজিৎ কুমার রায় এই আসনের গত দুই মেয়াদের সংসদ সদস্য। এলাকায় তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির টি এস আইয়ুব ২০০৮ সালে এখান থেকে নির্বাচন করে হেরে যান। এবারেও তিনি জয় পেতে ব্যর্থ হবেন বলে মনে করছি আমরা। কারণ বিএনপির নেতা কর্মীরা একের পর এক অভিযোগ করলেও নির্বাচনের মাঠে তারা একেবারেই তৎপর নন।
যশোর-৫
এই আসনে আওয়ামী লীগের স্বপন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে লড়ছেন ইসলামি ঐক্যজোটের মুফতি ওয়াক্কাস। মুফতি ওয়াক্কাস ২০০১ এর নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে অংশ নিয়ে জয় পেয়েছিলেন। অন্যদিকে স্বপন ভট্টাচার্য ২০১৪ সালে এই আসন থেকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয় পান। এলাকায় তিনি জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী। অন্যদিকে মুফতি ওয়াক্কাস এবার ব্যাকফুটেই রয়েছেন। ধানের শীষে লড়লেও স্থানীয় বিএনপির সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছেন না তিনি। এ কারণে এই আসনে নৌকা জিতবে বলে মনে করছি আমরা।
যশোর-৬
এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইসমাত আরা সাদেক। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবুল হোসেন। এই এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রভাব বেশি। ১৯৯৬ সাল থেকেই এই আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে। ইসমাত আরাও এই এলাকায় পারিবারিকভাবেই অত্যন্ত প্রভাবশালী। এই আসনের বর্তমান সাংসদ এবং জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী তিনি। এখানকার তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝেও তিনি তুমুল জনপ্রিয়। বিগত ৫ বছরে তিনি এই নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। এসব কারণে এই আসনে নৌকার জয় দেখছি আমরা।
মাগুরা-১
মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব সাইফুজ্জামান শিখর। তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মনোয়ার হোসেন। এরা দুজনই এবারই প্রথম নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। শিখর নতুন প্রার্থী হলেও দীর্ঘ ১০ বছর ধরে স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। একারণে মাগুরায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মাঝে তাঁর প্রভাব এবং জনপ্রিয়তা রয়েছে। এই আসনে সংঘবদ্ধ হয়েই কাজ করছে আওয়ামী লীগ। এর ঠিক বিপরীত চিত্র দেখা গেছে বিএনপি শিবিরে। তারা যুদ্ধে নামার আগেই হাল ছেড়ে দিয়েছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এ কারণে এখানে নিশ্চিতভাবেই নৌকার জয় হবে বলে মনে করছি আমরা।
মাগুরা-২
এবার মাগুরা-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এড. নিতাই রায় চৌধুরী। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রার্থী আলহাজ মুফতি মস্তোফা কামালও এই আসন থেকে ভোটযুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন। ত্রিমুখী লড়াই হলেও অতীত নির্বাচনগুলোর হিসাব-নিকাশ এবং বর্তমান পরিস্থিতি আওয়ামী লীগের জয়ের আভাস দিচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।