নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
নির্বাচন বানচালের শেষ ষড়যন্ত্র হচ্ছে দুবাইয়ে। লন্ডন থেকে তারেকের প্রতিনিধি, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রতিনিধি এবং বিএনপির দুজন নেতা এখন দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। লন্ডনে তারেক জিয়া এবং যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা নির্বাচন বানচালের যে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছে, তা দুবাই থেকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা হবে বলে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে নিশ্চিত করা হয়েছে।
লন্ডনে বসে তারেক জিয়া যেসব নির্দেশ পাঠাচ্ছে তা অধিকাংশই ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জানা যায়, ৩০ ডিসেম্বরের নীল নকশা বাস্তবায়নের হেড কোয়ার্টার দুবাইতে নেওয়া হয়েছে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচন বানচালের মূল ষড়যন্ত্র থেকে বিএনপি-জামাত-ফ্রন্ট এখনো সরে আসেনি। তবে নির্বাচন নস্যাৎ করার তাদের পরিকল্পনায় পরিবর্তন এসেছে। সেনাবাহিনী মোতায়েন করার ফলে, এখন একযোগে সহিংস আন্দোলন বা ভোটকেন্দ্র দখল করা সম্ভব নয় বলে তারেক জিয়া তার পরিকল্পনা পরিবর্তন করেছে বলে একাধিক সংস্থা জানিয়েছে।
অপারেশন দুবাইতে তাই প্রার্থী ধরে ধরে হত্যা, কয়েকটি নির্বাচন ভোটকেন্দ্রে আক্রমণ, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং ব্যক্তির উপর আক্রমণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত এরকম একাধিক ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা রয়েছে। দুবাইয়ে বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠন সক্রিয়। দুবাই থেকেই এরা বিভিন্ন দেশে নাশকতা এবং জঙ্গি তৎপরতার জন্য অর্থ যোগায়। দুবাইয়ে এসব ব্যাপারে গোয়েন্দা নজরদারিও কম। তাছাড়া সহজেই পাকিস্তান থেকে দুবাই আসা যায়। নির্বাচন বানচালের জন্য ষড়যন্ত্রের হেডকোয়ার্টার হিসেবে দুবাইকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।
তারেক জিয়া যে মাস্টার প্লান করেছে, তা বাস্তবায়নের জন্যে পেশাদার লোকজনের প্রয়োজন। যেমন ২১ আগস্টের ঘটনা। ঐ ঘটনার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তারেক আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার এবং পেশাদার সন্ত্রাসীদের সাহায্য নিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হলে বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্টের জয়ের কোন সম্ভাবনা নেই। এটা নিশ্চিত হবার পরেই দুবাইতে তারেক জিয়া দুবাইতে দুজন প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন। পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এখন তার আন্তর্জাতিক অপারেশন গুলো দুবাই থেকে পরিচালিত করে। আইএসআই এর শীর্ষ দুই কর্মকর্তাও দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। এদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ঢাকা থেকে যাওয়া বিএনপির দুই নেতা।
জানা গেছে, তারেক জিয়া মনে করছে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হয়ে গেলে বিএনপির সামনে কোন পথ খোলা থাকবে না। আর সেনাবাহিনী মোতায়েনের ফলে এখন ভোট বর্জন করে আন্দোলনের সম্ভাবনাও নষ্ট হয়ে গেছে। এখন তারেকের পরিকল্পনা একটাই ২১ আগস্টের মতো এক বা একাধিক ঘটনা ঘটিয়ে নির্বাচন নস্যাৎ না করা। তারেক জিয়া পরিকল্পিত এই অপারেশনের নাম দিয়েছে ‘দ্য লাস্ট ব্যাটেল’।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।