নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
নির্বাচনই অগ্নি পরীক্ষা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। এই নির্বাচনে তিনটি লক্ষ্যের যেকোন একটিও অর্জিত না হলে সরে যেতে হবে বিএনপি মহাসচিবকে। লন্ডন থেকে এমন বার্তাই দেয়া হয়েছে। বিএনপি মহাসচিবকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে লক্ষ্য অর্জন করতে না পারলে সরে যেতে হবে। এই নির্বাচন তাই মির্জা ফখরুলের রাজনৈতিক অস্তীত্বের পরীক্ষা। বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে আড়ালে রেখে, শর্ত সাপেক্ষে মির্জা ফখরুলকে বিএনপির নেতৃত্বে তুলে দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, মির্জা ফখরুল বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়াকে কথা দিয়েছেন যে, এই নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বের করে আনবেন। নির্বাচনে তিনটি লক্ষ্যও তাকে দেয়া হয়েছে। এই তিন লক্ষ্যর যেকোন একটি তাকে অর্জন করতেই হবে। বিকল্প তিনটি লক্ষ্য হলো:
১. নির্বাচনে নীরব ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে বিএনপিকে আবার ক্ষমতায় আনা হলো মির্জা ফখরুলের প্রধান বিকল্প লক্ষ্য। মির্জা ফখরুল দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বলেছেন কারচুপি হলেও ৩০ ডিসেম্বর ভোট বিপ্লব হবে। ভোটের মাধ্যমে জয়ী হবে বিএনপি। নির্বাচনের পর বেগম জিয়ার মুক্তি এবং তারেক জিয়ার দেশে ফেরা হবে সময়ের ব্যাপার মাত্র।
২. শেষ পর্যন্ত যদি দেখা যায় ভোটে জয়লাভের সম্ভাবনা নেই, সেক্ষেত্রে মির্জা ফখরুল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে এক অভাবনীয় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সেক্ষেত্রে এই আন্দোলন কেবল নির্বাচনই বন্ধ করবে না, সরকারের পতনও ত্বরান্বিত করবে। এরকম পরিস্থিতি , একটি নতুন নির্বাচনকালীন সরকার হবে। এর ফলে বেগম জিয়ার মুক্তি এবং বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সহজতর হবে।
৩. নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হবে যেন সরকারের স্বল্পতম সময়ের মধ্যে পতন নিশ্চিত হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনের পক্ষে যুক্তি দেখাতে গিয়ে এই তিন লক্ষ্যের যেকোন একটি অর্জনের কথা বলেছিলেন। মির্জা ফখরুল এখনো দলের নেতাকর্মীদের বলছেন যে, নির্বাচনে এই তিন লক্ষ্যের যে কোন একটি অর্জিত হবেই। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে যদি, তিনিটি লক্ষ্যের একটিও অর্জিত না হয়, তাহলে বিএনপি মহাসচিব নায়ক থেকে ‘খলনায়কে’ পরিণত হবেন। বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন, শেষ পর্যন্ত যদি এই নির্বাচনে বিএনপি কিছুই অর্জন করতে না পারে, সেক্ষেত্রে বিএনপি মহাসচিবের বিদায় ঘন্টা বাজবে। তাকে হয়তো বিএনপির আগের মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার মতোই পরিণতি নিয়ে দল থেকে সরে যেতে হবে। বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন, মির্জা ফখরুল কঠিন সময়ে দলের হাল ধরেছেন। দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রেতিনি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁর কোন অর্জন নেই। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে মির্জা ফখরুলের শেষ সুযোগ।
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।