নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
ড. কামাল হোসেন ‘ভাড়াটে গুণ্ডা’দের মতো আচরণ করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনের একাধিক ব্যক্তি। আজ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে ড. কামাল হোসেনের আচরণ ছিলো মারমুখী, আক্রমণাত্মক। বৈঠকে উপস্থিত নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেন,‘ ড. কামাল হোসেন বয়:প্রবীণ মানুষ। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও তার সঙ্গে শ্রদ্ধাপূর্ণ আচরণ করেন। ড. কামালের বক্তব্য আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে শুনি। কিন্তু আজ উনি ছিলেন সম্পূর্ণ অন্যরকম।’ বৈঠকে উপস্থিত একজন বলেন,‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার কোন ব্যাক্তি নন, একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানকে অসম্মান করা কারোরই উচিত নয়।’ বৈঠক সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, ড. হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সদস্যরা বৈঠকের শুরুতেই নির্বাচন কমিশনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য এবং গালাগালি শুরু করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন,‘আপনারা ঢালাওভাবে অভিযোগ না করে তথ্য প্রমান দিন। আমরা ব্যবস্থা নেবো। এ সময় ড. কামাল হোসেন উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। বলেন,‘আমি বলছি, এটাই প্রমান।’ এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন,‘আপনি তো একটি পক্ষ। আপনার বক্তব্য তো আর প্রমান হতে পারে না।’ এ সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পরে। বৈঠকে উপস্থিত কেউ কেউ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রতি ‘আক্রমণাত্মক’ ভাষা ব্যবহার করেন। এক পর্যায়ে তারা বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করেন।
বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, বৈঠকে যোগ দেয়ার আগে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার দীর্ঘ টেলি আলাপ হয়। নির্বাচন বানচালে তারেক জিয়ার যে লীল নকশা তা বাস্তবায়নের জন্যই পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একাধিক নেতা স্বীকার করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, তারেক জিয়া ড. কামাল হোসেনকে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে একটা সিন ক্রিয়েট করতে বলেন। নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে ওয়াক আউটের মধ্যে দিয়ে তারেক জিয়ার পরিকল্পনার প্রথম ধাপ পুরো হলো বলে ঐক্যফ্রন্টের একাধিক নেতা বলেছেন। এর ফলে নির্বাচন বর্জনের পথ প্রশস্ত হলো। এখন শেষ পর্যন্ত যদি বিএনপি-জামাত-ফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন করে, তাহলে তাঁরা এই বৈঠককে সামনে আনবে। তাঁরা বলবে, নির্বাচন কমিশন আগে থেকেই পক্ষপাতে দুষ্ট ছিলো। এই নির্বাচন কমিশন সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। এটা বলে তাঁরা নির্বাচন বর্জনের সার্টিফিকেট নেবে। দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষক এবং কুটনীতিকদের সহানুভূতি আদায়ের জন্যেই এই নাটক সাজানো হয়েছে বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঐক্যফ্রন্টের একজন নেতা বলেছেন, ‘ড. কামাল এখন তারেকের অধীনস্থ কর্মচারীতে পরিণত হয়েছেন। নিজে নির্বাচন করছেন না। অথচ তারেকের নির্দেশে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সব কিছুই করছেন।’ বিএনপির একজন বলেছেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হলে কুটনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক মহলে তা গ্রহণযোগ্য হতো না। এজন্যেই তারেক জিয়া ড. কামাল হোসেনকে ভাড়া করেছেন।’
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন