নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ এএম, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
এবারের নির্বাচনে প্রতিবেশী দুই জেলা নড়াইল ও বাগেরহাটকে নিয়ে পুরো দেশেরই রয়েছে বাড়তি আগ্রহ। নড়াইল-২ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। আর বাগেরহাট-২ থেকে অংশ নিচ্ছেন শেখ তন্ময়। এই দুই তরুণ প্রার্থী নিজ এলাকা তো বটেই, পুরো নির্বাচনেরই সবচেয়ে বড় তারকায় পরিণত হয়েছেন। নড়াইলে নির্বাচনী আসন ২টি আর বাগেরহাটে ৪টি। এই দুই জেলার নির্বাচনী মাঠের হালচাল পর্যবেক্ষণ করে বাংলা ইনসাইডার প্রেডিক্ট করছে নৌকা এখানে ৬টি আসন পাবে। অন্যদিকে ধানের শীষ এই দুই জেলায় শুন্য হাতেই থাকবে।
নড়াইল-১ (কালিয়া এবং নড়াইল সদর উপজেলার অংশবিশেষ)
নড়াইল-১ আসনে আওয়ামী লীগের কবিরুল হকের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জাহাঙ্গীর বিশ্বাস। এই আসনে ১৯৭৯ সালের পর ধানের শীষের কোনো প্রার্থীই জয় পাননি। এবারও এখানে ধানের শীষ জয় পাবে না বলেই মনে করছি আমরা। কারণ কবিরুল হক এই এলাকার জনপ্রিয় নেতা। গত ১০ বছর ধরে এই এলাকার সাংসদ তিনি। এখানে তাঁর শক্ত অবস্থান তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে জাহাঙ্গীর বিশ্বাস এবং তাঁর দল এখানে একেবারেই দুর্বল।
নড়াইল-২(লোহাগড়া উপজেলা এবং নড়াইল সদর উপজেলার অংশবিশেষ)
এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ধানের শীষের ফরিদুজ্জামান। মাশরাফি এখানে অত্যন্ত জনপ্রিয়। দলমত নির্বিশেষে তিনি সবার ভোট পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই আসনে নিশ্চিতভাবেই নৌকার জয় হতে যাচ্ছে।
বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট, মোল্লাহাট এবং চিতলমারী উপজেলা)
বাগেরহাট-১ আসনটি নৌকার ঘাঁটি। ১৯৯১ সাল থেকেই এই আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে। এবার এখানে নৌকার প্রার্থী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন। তাঁর বিপরীতে লড়ছেন বিএনপির মাসুদ রানা। এই আসনটি ঐতিহাসিকভাবেই নৌকার ঘাঁটি হওয়ায় এখানে ধানের শীষের পরাজয়ই দেখছি আমরা।
বাগেরহাট-২(বাগেরহাট সদর এবং কচুয়া উপজেলা)
এখানে নৌকার প্রার্থী বঙ্গবন্ধু পরিবারের আরেক সন্তান শেখ তন্ময়। তিনি শেখ হেলালের পুত্র। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের এম এ সালাম। শক্তি-সামর্থ এবং জনপ্রিয়তায় এই দুই প্রার্থীর মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। সবদিক থেকেই শেখ তন্ময় এম এ সালামের থেকে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। এ কারণে এই আসনে নৌকার জয় নিশ্চিত বলেই মনে করছি আমরা।
বাগেরহাট-৩(রামপাল এবং মোংলা উপজেলা)
বাগেরহাট জেলার এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুন্নাহার। এই আসনের বর্তমান এমপি তিনি। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের স্ত্রী হাবিবুন্নাহার। এলাকায় পারিবারিকভাবেই অত্যন্ত প্রভাবশালী তিনি। অন্যদিকে এখানে জামাতের প্রার্থী ওয়াদুদ শেখ। নির্বাচনের মাঠে এই প্রার্থীর দেখাই পাওয়া যাচ্ছে না। বিএনপির নেতা কর্মীরাও তাকে সাহায্য সহযোগিতা করছেন না। এসব কারণে এখানে নৌকার জয় অনেকটাই নিশ্চিত।
বাগেরহাট-৪(মোরেলগঞ্জ এবং শরণখোলা উপজেলা)
এখানে এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোজাম্মেল হক। আর ধানের শীষ প্রতীকে লড়ছেন জামাতের আব্দুল আলীম। এই এলাকায় আওয়ামী লীগ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আটক রয়েছেন আব্দুল আলীম। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর বাসায় অভিযান চালিয়ে জামায়াত-শিবিরের শতাধিক নেতা-কর্মীসহ তাকে আটক করে পুলিশ। প্রচার প্রচারণায় পিছিয়ে থাকা ধানের শীষ এই আসন থেকে জয় পাবে না বলেই মনে করছি আমরা।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।
আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে আগামী ৮ মে। গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। গতকাল আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
জানতে চাইলে মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর হাতে। তিনি ওই পরিবারের একজন সদস্যের মতো। মাঝখানে কিছু ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব থাকলেও তা ঘুচে গেছে। আশিক আলীর সমর্থনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জোড় করাতে তাঁর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন। দলের অন্য কেউ আগ্রহ দেখাননি। ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজ থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কেবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী।
ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন।
এদিকে বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল চারজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে রিটার্নিং এস এম কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন।
তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধ ও প্রচ্ছন্ন চাপে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন ও জনসংহতি সমিতির সাবেক এক নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চারজনের মনোনয়নই রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ ঘোষণা করেছিলেন। প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতিও নিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর প্রার্থীরা জানিয়েছেন, গতকাল প্রত্যাহারের শেষ দিনে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের নেতারা তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং প্রচ্ছন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন।
মন্তব্য করুন
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জুনাইদ আহমেদ পলক নাটোর তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক টানা তিনবারের প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু রাজনীতিতে তার পদ পদবী তেমন নেই। রাজনীতিতে এখনও তিনি তরুণ এবং পিছনের সারির নেতা হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃত্ব এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তিনি বিভিন্ন সময়ে সুনাম কুড়িয়েছেন। কখনও বিতর্কিত হয়েছেন। তবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তার পরীক্ষা হলো এবার এবং সেই পরীক্ষায় তিনি শুধু কৃতকার্যই হননি, এ প্লাস পেয়েছেন বলেও অনেকে মনে করছেন।