নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৪ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃতাধীন মহাজোট ২৪৮টি আসন পাবে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পাবে ৪৯টি আসন এবং অন্যান্য দল পাবে ৩টি আসন। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রের (আরডিসি) জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফল প্রকাশ করে আরডিসি।
এ জরিপে উল্লেখ করা হয়, ভোটারদের ৬০ শতাংশ মহাজোটকে সমর্থন করেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সমর্থন করেন ২২ শতাংশ ভোটার, জেপি ৪ শতাংশ, ১০ শতাংশ ভোটার এখনো অনিশ্চিত, ৩ শতাংশ ভোটার উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানান। এছাড়াও ১ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
অনুষ্ঠানে জরিপের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন আরডিসির গবেষক ও অর্থনীতিবিদ ফরেস্ট ই কুকসেন। তিনি জানান, ‘আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। জরিপে ২ হাজার ২৪৯ জন ভোটার মতামত প্রদান করেছেন। জরিপ অনুযায়ী মহোজোট ২৪৮টি আসন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৪৯টি ও অন্যান্য দল ৩টি আসন পেতে পারে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিবিদ এবং গবেষক ফরেস্ট ই কুকসেন জানান, ‘রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রেখে নির্বাচনের সম্ভাব্য ফল জানাতে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে নির্বাচনের আগে এ ধরনের জরিপের রেওয়াজ রয়েছে। নির্বাচনের আগে এমন ভোট গণনা এবং তা কার্যকর করা কঠিন।’
গবেষক কুকসেন আরও বলেন, ‘আমরা নিরপেক্ষভাবেই এ জরিপ পরিচালনা করেছি। জরিপের জন্য ভোটারদের কাছে ব্যালট পেপার দিয়েছি। সেই ব্যালটে তারা ভোট দিয়েছেন। ভোট দিতে অস্বীকার করা এবং নির্বাচনে ভোট দেওয়ার ইচ্ছা নেই, এমন প্রশ্নও যুক্ত করা হয়েছে।’
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/এমআর
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।