নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮
নাটকীয়ভাবে নির্বাচনে এরশাদের আওয়ামী লীগের পক্ষে অবস্থানকে বলা হচ্ছে রাজনৈতিক পূর্বাভাস। ৯৬ এর নির্বাচনের পর থেকেই ‘এরশাদ’ হয়ে উঠেছেন আবহাওয়া পূর্বাভাস। এরশাদ যে পক্ষে ঝুঁকেছেন, তারাই নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। অনেক নাটকের জন্ম দিয়ে শেষ পর্যন্ত এরশাদ তাঁর বোন শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ঢাকা- ১৭ আসন থেকে নিজে আওয়ামী লীগের পক্ষে সরে দাঁড়িয়েছেন।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর একের পর এক নাটকের জন্ম দেন এরশাদ। ১৩২টি আসনে জাতীয় পার্টি উন্মুক্ত প্রার্থী ঘোষণা করে। অসুস্থতার নাটক করে এরশাদ সিএমএইচে যাওয়া আসার মধ্যে থাকেন। নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর ১০ ডিসেম্বর চলে যান সিঙ্গাপুরে। সেখানে এরশাদ অপেক্ষায় ছিলেন নির্বাচনের হাওয়া কোন দিকে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যখন সাবেক স্বৈরাচার বুঝতে পারেন তারেক জিয়ার ‘ষড়যন্ত্র’ সফল হচ্ছে না, তখন এরশাদ দেশে ফিরে এলেন। কারণ এরশাদ জানেন তাঁর দ্বিচারী আচরণের জন্য সচল হতে পারে মঞ্জুর হত্যা মামলা। যে মামলা তাঁর ‘প্রাণ ভোমরা’। তাই আওয়ামী লীগের পক্ষে এরশাদের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ প্রমাণ করে যে আওয়ামী লীগই আসন্ন নির্বাচনে বিজয়ী হতে যাচ্ছে। এজন্য এরশাদ আগেভাগেই আওয়ামী লীগের প্রতি আনুগত্য জানালেন।
পতিত স্বৈরাচার ভারতের নির্দেশেই পরিচালিত হন। ২০১৪ ‘র নির্বাচনে কে বা কারা তাকে বলেছিল আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে পারবে না। সে কারণেই ঐ নির্বাচনে তিনি ভারতের সিদ্ধান্তের বাইরে কি নাটক করেছিলেন? কিন্তু এবার এরশাদ আর ভুল করলেন না। এরশাদের এই নতুন সিদ্ধান্ত নির্বাচন সম্পর্কেও স্পষ্ট বার্তা দিলো বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।